কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
২৫ ডিসেম্বর রাতে বৃন্দাবনচক গ্রামে হাত-পা ভেঙে নৃশংসভাবে খুন করা হয় তৃণমূল কর্মী মহাদেব বিশাইকে। খুনের প্রতিবাদে শুক্রবার নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। টেঙ্গুয়া মোড়, দাউদপুরে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করেন তাঁরা। মহেশপুরে বাজারেও প্রতিবাদ সভাও হয়। অন্যদিকে, ওই ঘটনায় দলের নেতাদের ফাঁসানোর অভিযোগে তেখালি ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। দলের মহিলা শাখার পক্ষ থেকে ওই ফাঁড়িয়ে বিক্ষোভ হয়। উত্তপ্ত নন্দীগ্রামে বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয়েছে।
ওই খুনের ঘটনায় বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল, চারজন পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, তিনজন মণ্ডল সভাপতি ও গোকুলনগর পঞ্চায়েতের প্রধান সহ মোট ৩৯ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর সাতখণ্ড জালপাই গ্রামে তৃণমূল কর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডল খুনের ঘটনাতেও ওই নেতৃত্বের বিরুদ্ধেই এফআইআর করা হয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় শুক্রবার পূর্ব নির্ধারিত দেশপ্রাণ সমবায় সমিতির নির্বাচন স্থগিত হয়ে গিয়েছে।
এদিন তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহত মহাদেববাবুর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র, জেলা সভাপতি অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা কমিটির চেয়ারপার্সন চিত্ত মাইতি প্রমুখ মহাদেববাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। এরপর দেহ রওনা দেয় বৃন্দাবনচক গ্রামের উদ্দেশে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন নিহত কর্মীর বাড়িতে যান। সন্ধ্যা ৬টার পর দেহ বাড়িতে পৌঁছয়। ওই তৃণমূল কর্মীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে নন্দীগ্রাম-১ ও ২ ব্লক এলাকা থেকে শয়ে শয়ে মানুষজন উপস্থিত হন। প্রত্যেকের একটাই দাবি, দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা হোক।
ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, মাত্র ১৭ দিনের ব্যবধানে বিজেপি নন্দীগ্রামে আমাদের দু’জনকে খুন করেছে। মহাদেব বিশাইকে হাত-পা ও শিরদাঁড়া ভেঙে এবং মুখ থেতলে মারা হয়েছে। বিজেপি এখানে মধ্যযুগীয় পৈশাচিক বর্বরতার নজির তৈরি করছে। এই জঘন্য ঘটনায় সঙ্গে জড়িত বিজেপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার না করলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে। আমরা চুপ করে বসে থাকব না।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মেঘনাদ পাল বলেন, মহাদেব বিশাইয়ের দেহ নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল। তদন্তের আগেই খুনের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের নাম জড়িয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। এই খুনের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা হোক। আমরা দলের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। তদন্ত প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার চেষ্টা থেকে বিরত থাকুক তৃণমূল।