বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এদিন বোলপুর ডাকবাংলো মাঠে তিনি বলেন, আগেরবার যাকে প্রার্থী করা হয়েছিল সে জিতে কোনও কাজ করেনি। এলাকার মানুষের সঙ্গে দেখা করেনি, সার্টিফিকেট পর্যন্ত দেয়নি। তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। এবার যাকে এনেছি সে কাজের লোক, মানুষের সঙ্গে থাকার লোক। এদিন বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, ওরা ১২০টার বেশি সিট পেলে রাজনীতি করা ছেড়ে দেব। ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, এলাকায় অনেক দালাল ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে, ভুল করবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাত বছরের উন্নয়নকে ভুলে যাবেন না।
এদিনও দলীয় নেতাদের কড়া বার্তা দেন। বিশেষ করে বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলারদের উদ্দেশে বলেন, লিড কম হলে সরিয়ে দেব। যে বেশি লিড দেবে তাঁকে নেব। বোলপুর বিধানসভা এলাকা থেকে লোকসভায় এক লক্ষ লিড দেওয়ার টার্গেট দেন দাপুটে এই নেতা।
এদিনের সম্মেলনে অনুব্রত মণ্ডল ছাড়াও এই আসনের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মাল হাজির ছিলেন। এছাড়া মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা সহসভাপতি অভিজিৎ সিংহ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, অনুব্রতবাবুর গাড়িতে লালবাতি থাকা নিয়ে এদিন বিতর্ক ওঠে। প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লালবাতি জ্বলে না। এমনি থাকতে পারে, নিয়মটা আমি ভালো জানি।
এদিন লোকসভা ভোটে লিড দেওয়া নিয়ে বোলপুর পুরসভার কাউন্সিলার ও এই ব্লকের ন’টি অঞ্চলের নেতাদের সতর্ক করেন তিনি। কর্মী সম্মেলনে পঞ্চায়েত ধরে ধরে প্রতিটি এলাকার রিভিউ করেন অনুব্রতবাবু। সম্মেলনে রুকপুরের অঞ্চল সভাপতি বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে না চলার অভিযোগ ওঠে। এরপর তিনি এলাকায় পাঁচ সদস্যের কমিটি গড়ে প্রধানকে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দেন। লিড পেতে মরিয়া তৃণমূল জেলা সভাপতি রায়পুর সুপুরের অঞ্চল নেতাদেরও কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ৬ হাজার ভোটের লিড দিতে না পারলে কোনও কাজ দেব না। বিকাশদা (জেলা সভাধিপতি) তেমন হলে আমার সঙ্গে আলোচনা না করে কোনও কাজ দেবেন না।
লাভপুরে কর্মী সম্মেলনে যোগ দিয়ে প্রতিটি অঞ্চলে নিজেদের ক্ষমতা যাচাই করলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। সেখানেই স্থানীয় এক নেতা দাবি করেন, ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট হয়নি, ভোট হয়েছিল বিধায়ক বিরোধী। তাই আমরা তুলনামূলক কম লিড দিতে পেরেছিলাম। যদিও সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, আপনাদের বুঝতে ভুল হয়েছে। কর্মীরা সিপিএমের বিধায়কের বিরুদ্ধে বলেছিল।
২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে বোলপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন জেলার রাজনৈতিক মহলের একেবারে অপরিচিত মুখ অনুপম হাজরা। দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে তাঁর হয়ে প্রচার করেন জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর টিম। তিনি মানুষের পাশে থাকার বার্তাও দিয়েছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে তা হয়নি। বিদায়ী ওই সংসদ সদস্যকে যেমন এলাকায় দেখা যায়নি, তেমনি কোনও উন্নয়ন করতেও দেখা যায়নি। বরং অনুপম হাজরাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় জেলা সভাপতির উদ্দেশে কটূক্তি করতে দেখা গিয়েছে। এতদিন নীরব থাকলেও অসিত মালকে এই আসনে প্রার্থী করতেই এবিষয়ে মুখ খুললেন অনুব্রতবাবু। এদিন সভায় কর্মীদের কাছে তাকে প্রার্থী করার জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন। এদিকে এদিন লাভপুরের কর্মী সম্মেলন থেকে ভাটপাড়ার সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া দলের বিধায়ক অর্জুন সিংকে দুধ না দেওয়া গোরুর সঙ্গে তুলনা করে বিতর্ক বাড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল।