বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বুথস্তরে কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য গত ৭ মার্চ থেকে ব্লক ভিত্তিক সম্মেলন শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ১৭তারিখ জামালপুর ব্লকে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ওই কর্মসূচি শেষ হবে। প্রতিটি ব্লক সম্মেলনে দলের জেলা সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ উপস্থিত থেকে নেতা-কর্মীদের ভোটের মুখে ভোকাল টনিক দিয়েছেন। প্রত্যেক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিকে নিজেদের বুথ এবং নির্বাচিত এলাকা থেকে লিড নিশ্চিত করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তা না হলে দলে যে কোনও গুরুত্ব থাকবে না তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই জেলাজুড়ে তৃণমূলের দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছিল। ১২ তারিখ প্রার্থী ঘোষণার পর দেওয়াল লিখনে আরও গতি এসেছে। প্রার্থীদের নাম সহ বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখন চলছে জোরকদমে। বৃহস্পতিবার পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভার অন্তর্গত ধাত্রীগ্রামে বর্ধমান পূর্ব লোকসভার প্রার্থী সুনীল মণ্ডলের সমর্থনে দেওয়াল লেখেন স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। এদিন ভাতারের ওড়গ্রামে হাটতলায় বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার দলীয় প্রার্থী মমতাজ সংঘমিতার সমর্থনে দেওয়াল লেখেন স্থানীয় বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল।
বর্ধমান শহরের সমস্ত ওয়ার্ডে জোরকদমে দেওয়াল লিখন শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, বেশকিছু জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের ছড়া কেটে দেওয়াল লিখনও বেশ নজর কেড়েছে। বর্ধমান উত্তর বিধানসভার অন্তর্গত কুড়মুন-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস দেওয়াল লিখেছে, ‘কোথায় গেল কালো টাকা? চাওয়ালা ভণ্ডপাকা/ এই বিজেপি আর না, আর না’। পাশাপাশি ‘জিতবে তৃণমূল, হারবে সিপিএম/ দেখবে কংগ্রেস, ফাটবে বিজেপি-র’। ‘পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তোলো/ চৌকিদার বদলে ফেলো’।
এদিকে, সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব জোট হবে কি না সেদিকেই তাকিয়ে আছে। বর্ধমান-দুর্গাপুর এবং বর্ধমান পূর্ব লোকসভা আসনের মধ্যে দু’টিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় সিপিএম। যদিও কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইছে, অন্তত একটা আসন তাদের ছাড়া হোক। সিপিএম এবং কংগ্রেসের মধ্যে এই জট অব্যাহত। এদিকে, বিজেপিও প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি। বর্ধমান সদর এবং বর্ধমান পূর্ব সাংগঠনিক জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একাধিক প্রার্থীর নাম রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। শেষমেশ কে প্রার্থী হন, সেদিকে তাকিয়ে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। তবে, প্রার্থীর নাম ঘোষণা না হওয়ায় এখনও প্রচারে জোশ নেই গেরুয়া শিবিরের। একইরকমভাবে ময়দানে নামতে পারছে না সিপিএম এবং কংগ্রেসও।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কোনও না কোনও পরিষেবা পৌঁছে গিয়েছে। এই অবস্থায় ভোটপ্রচারে আমরা উন্নয়ন এবং পরিষেবা প্রদানের বিষয়টি সামনে রেখে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছি। সর্বত্র দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। ছোট ছোট সভাও চলছে। দলনেত্রী ৪২-এর মধ্যে ৪২টি আসনে জেতার টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে দলীয় কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য চক্রবর্তী বলেন, প্রার্থী ঠিক করার বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব দেখছে। আমরা নিজেদের মতো প্রচার করছি। জেলা কংগ্রেস সভাপতি আভাষ ভট্টাচার্য বলেন, প্রার্থী নিয়ে সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা চলছে। শেষমেশ কী হয়, সেদিকে আমরা তাকিয়ে আছি।