বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার চারটি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ও সেখানকার বিধায়ক, চেয়ারম্যান এবং পদাধিকারীদের নিয়ে আলাদা আলাদা বৈঠক হয়। দুপুর থেকে তা শুরু হয়। দুপুরে প্রথম বৈঠক হয় জয়নগর লোকসভার। প্রতিমা মণ্ডল ছাড়াও সেখানকার বিধায়করা ছিলেন। এরপর মথুরাপুরের প্রার্থী সি এম জাটুয়াকে নিয়ে হয়। বিকেলে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে আলোচনা হয়। সন্ধ্যার সময় ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে আলোচনা হয়। জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি সভায় কী করতে হবে, কী হবে না তার রূপরেখা তৈরি করে দেন। রাজনৈতিকভাবে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেসের মোকাবিলা কীভাবে করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। কোথায় বিজেপি, কোথায় সিপিএম, কোথায় কংগ্রেসের সঙ্গে টক্কর হতে পারে তা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়।
পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারাকপুরের দাপুটে নেতা ও সংগঠক অর্জুন সিংয়ের দলত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তার উত্তরে অভিষেক বলেন, তৃণমূল ছেড়ে কেউ বিজেপিতে গিয়ে যদি মনে করে লাভবান হবে তা ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখার শামিল। তিনি বলেন, টিকিটের লোভে বিজেপিতে গিয়েছে অনেকে। চ্যালেঞ্জের সুরে সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের দলের প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদির কাছে দাঁড়াতে পারবে না অর্জুন। দু’লাখের বেশি ভোটে হারবে। এটা ভোটের পর মিলিয়ে নিতে বলব। ২৩ মের পর এদের কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ব্যঙ্গের সুরে বিজেপিকে বলেন, ৪২টি আসনে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না ওরা। তা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। সেই দল আবার দিল্লি দখলের স্বপ্ন দেখছে।
অভিষেক বলেন, এ রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়কে দেখে ভোট দেন। কোনও অর্জুন সিং কিংবা যারা দল ছেড়ে চলে গিয়েছে, তাদের দেখে নয়। ফলে নেত্রীর ছবি ও প্রতীক যথেষ্ট। তার বাইরে কাউকে মানুষ চেনে না। ফলে আমাদের দলে যে কেউ প্রার্থী হতে পারে। তিনি বলেন, টিকিটের লোভে সৌমিত্র খাঁ, অনুপম বিজেপিতে গিয়েছে। তা নিয়ে আমাদের দল চিন্তিত নয়। যারা যাবার তারা চলে গিয়েছে। তৃণমূলের তাতে ক্ষতি হয়নি। তিনি আরও বলেন, অর্জুন সিং ভাটপাড়া পুরসভা থেকে পদত্যাগ করে ফের জিতে দেখাক। ২০১৪ সালে দীনেশ ত্রিবেদি ভাটপাড়ায় ৫ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। কিন্তু, তারপর অন্য জায়গা থেকে লিড নিয়ে জিতেছেন। এক্ষেত্রেও অর্জুন কোনও ফ্যাক্টর নয়। সংসদ সদস্য বলেন, এবারও ৪২টি আসনে আমরা জিতব। নির্বাচন কমিশন, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে যতই চাপ দেওয়ার চেষ্টা করুক, কোনও লাভ হবে না। মহেশতলা বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপিকে তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।