বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রধান অরুণ ঘোষ বলেন, আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪০০০ মানুষের ডিজিটাল রেশন কার্ড পাওয়ার কথা। যদিও তার মধ্যে ২৯০০ কার্ড চলে এসেছে। কার্ডের অভাবে যাঁরা রেশন সামগ্রী পাচ্ছিলেন না আমরা তাঁদের রেশন দেওয়ার চেষ্টা করছি। মনিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গৌতম ঘোষ ও হাতিঘিষার প্রধান জৈষ্ঠ্য মোহন রায় বলেন, অধিকাংশ বাসিন্দাই রেশন কার্ড পেয়েছেন। বাকিরাও দ্রুত পেয়ে যাবেন। লোয়ার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিভা বিশ্বকর্মা বলেন, এর মধ্যেই ৭০০ জনকে ডিজিটাল রেশনকার্ড দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অনেকের নাম ও ঠিকানা ভুল এসেছিল। এখনও অনেকে কার্ড পাননি। আমরা এনিয়ে চেষ্টা করছি। নকশালবাড়ির বিডিও বাপী ধর বলেন, ডিজিটাল রেশন কার্ড নিয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি। তবে এটা তো বিডিও অফিস থেকে সরাসরি হয় না। এটা খাদ্য দপ্তর দেখে। ওখান থেকে ওরা প্রিন্ট আউট বের করে দেয়। সেক্ষেত্রে কোনও জায়গায় ত্রুটি রয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে না। যদিও বকেয়া কার্ডের পরিমাণ কমে গিয়েছে। নকশালবাড়ি ব্লক খাদ্য দপ্তরের ইন্সপেক্টর কিংশুক মিত্র বলেন, ডিজিটাল রেশন কার্ডের আবেদনকারীরা ফর্ম ফিল আপ করছেন। তার পর এখান থেকে যা যা প্রক্রিয়া আছে তা আমরা করে দিচ্ছি। কলকাতা থেকে কার্ডগুলি আসতে সময় লাগছে। এছাড়া যেসব কার্ডে ভুল নাম ও ঠিকানা রয়েছে তা সংশোধন করা হবে। এর আগে এজেন্সি দিয়ে কাজ করানো হয়েছিল বলে কার্ডগুলিতে ভুল এসেছিল। এখন আমাদের দপ্তর থেকেই এই কাজ করা হচ্ছে।
নকশালবাড়ি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার গরিব মানুষেরা রেশন দোকান থেকে দু’টাকা কেজি দরে যে চাল, আটা, গম পেতেন ডিজিটাল রেশন কার্ডের অভাবে তা আর পাচ্ছেন না। পুরনো রেশন কার্ড দিয়ে অল্প পরিমাণে যে তেল পাওয়া যেতে সেটাও এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবার যারা ডিজিটাল রেশন কার্ড পেয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশেরই নাম ও ঠিকানা ভুলে ভরা রয়েছে। এর ফলে ডিজিটাল রেশন কার্ড থাকলেও আবার না থাকলেও উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ ভুক্তভোগী হচ্ছেন।