বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
রাজনৈতিক এবং সামাজিক স্যাটায়ারধর্মী বাংলা ছবি ‘ভবিষ্যতের ভূত’ নিয়ে বিতর্ক বেঁধেছে রাজ্যে। ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর ছবিটি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়। মুক্তি পায় চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি। কলকাতা সহ গোটা রাজ্যের ৪৮ টি প্রেক্ষাগৃহে ছবির প্রদর্শন শুরু হয়। কিন্তু পরদিন থেকেই কলকাতার মাল্টিপ্লেক্স কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে ছবিটির প্রদর্শন বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে ছবিটির প্রয়োজক সংস্থা। আবেদনকারীর পক্ষে আইনজীবী সঞ্জয় পারেখ আদালতে নিজের বক্তব্য বিস্তারিত তুলে ধরার আগেই বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ লেখাতে শুরু করেন। বলেন, মামলা পড়ে এসেছি। তাই আমাদের নির্দেশ, ছবিটি যখন সেন্সরবোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে গিয়েছে, তখন আর কোনও সংস্থারই তা আটকানোর অধিকার নেই। তাই অবিলম্বে যাতে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে দেখানো হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। আবেদনকারীর কাছে বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানতে চান, সেন্সরবোর্ড তার ছাড়পত্রে ছবিটিকে কোন ক্যাটাগরিতে ফেলেছে? আবেদনকারীর আইনজীবী জবাব দেন, ইউএ।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়ে দেন, সেন্সরবোর্ড ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে। তাহলে তো আর কোনও বাধা আসা উচিত নয়। তাঁর নির্দেশ, ছবিটি ফের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। শুধু তাই নয়। রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্র দপ্তরের সচিবকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ছবিটির প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে কোনও সমস্যা না হয়। পুলিস প্রশাসনকে ছবিটির প্রদর্শনের ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। আজ ছিল মামলার প্রথম দিনের শুনানি। তাই উপস্থিত ছিলেন না পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোনও আইনজীবী। আবেদনকারী প্রযোজক সংস্থা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। রাজ্য সরকারের পক্ষেও কোনও ‘কেভিয়েট’ করা ছিল না। তাই রাজ্য সরকারের কোনও আইনজীবী আজ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। আগামী ২৫ মার্চের শুনানিতে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে তাঁদের আইনজীবী মারফৎ জবাব দিতে হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।