বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের মেয়েদের জন্য ডায়মন্ডহারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৩ সালে তৈরি হয়। কিন্তু পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে এর শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়েছিল ২০১৪-১৫ সালে। তাও ফকিরচাঁদ কলেজ থেকে। পরে কেওরাতে চলে যায়। সমাবর্তনে সব দশটি বিষয় নিয়ে সফলভাবে এমএ এবং এমএসসিতে উত্তীর্ণ হওয়া ৩০৪ জন ছাত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। যদিও হাজির ছিলেন ২৫০ জন। প্রথা অনুসারে এদিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আচার্য তথা রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। মেয়েদের এই ফল জানার পর উচ্ছ্বসিতভাবে তিনি বলেন, নবীন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা একদিন সারা দেশের নজর কাড়বে। এর পাশাপাশি অধ্যাপক থেকে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টিরও প্রশংসা করেন তিনি। সফল হওয়া ছাত্রীদের তিনি বলেন, এবার তোমাদের সামনে নতুন এক চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে সেই চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে উত্তীর্ণ হওয়ার উপায় হিসেবে সততা, নিষ্ঠা, ধৈর্য অবলম্বন করার পরামর্শ দিলেন তিনি। উপাচার্য অনুরাধা মুখোপাধ্যায় বলেন, আগামী দিনে এখানে স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ন্যাকের অন্তর্ভুক্তি, অধ্যাপক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের শূন্যপদের সংখ্যা পূরণ, কাজের সুযোগ তৈরির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিল্পজগতের সংযোগ, কলকাতায় মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্প অফিস তৈরি করা হবে।
এদিন প্রধান অতিথির ভাষণ দিতে গিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিশিষ্ট বিজ্ঞানী সুদীপ্তা সেনগুপ্তা বলেন, পরিশ্রমের বিকল্প কিছু হতে পারে না। এক্ষেত্রে নিজের ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবনের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। বলেন, এখন সবক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে। অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই সম্মান পেয়ে গর্ব অনুভব করছি। আজকের দিনটি আমার মতো শিল্পীর কাছে এক ঝলক রোদ্দুর হয়ে থাকবে। দোলা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের দেশে তীরন্দাজি খুব একটা জনপ্রিয় নয়। তা সত্ত্বেও এই সম্মান আমার মতো তীরন্দাজকে দেওয়াতে খুব আনন্দিত। আমার মতো অনেক মেয়ে এই খেলায় আরও বেশি করে যুক্ত হোক এটাই শেষ ইচ্ছে।