বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী অপূর্ব সরকারের সমর্থনে এলাকার দলীয় কর্মীরা ব্যাপকভাবে ভোটপ্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ইতিমধ্যে এলাকার ৫০টি পঞ্চায়েতের সবকটি বুথে দেওয়াল লিখন হয়েছে। শনিবার বহরমপুরে মিনি ব্রিগেড সভার পর কর্মীরা বাড়ি ফিরে আসার পরদিন থেকেই এলাকায় ফ্লেক্স টাঙানোর কাজ শুরু করবেন। এরপর পাড়ায় পাড়ায় কর্মীরা দলগতভাবে ভোটপ্রচার শুরু করবেন বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, সেদিক থেকে প্রচারে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এলাকায় কয়েকটি মাত্র দেওয়াল লিখন করা হয়েছে। এছাড়াও এখনও পর্যন্ত ‘মাঠে’ নেমে কর্মীদের সেভাবে ভোট প্রচার করতে দেখা যায়নি। তবে বুধবার বিকেল থেকে কান্দি মহকুমা এলাকায় দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু হয়েছে। ওইদিন বিকেলে মহালন্দি-২ পঞ্চায়েতের নবগ্রাম থেকে দেওয়াল লিখন শুরু হয়। এরপর বৃহস্পতিবার থেকে মহকুমা এলাকার বড়ঞা, কান্দি ও ভরতপুর এলাকায় দেওয়াল লিখন শুরু হয়েছে। কিন্তু ভরতপুর-২ ব্লকের সালারে এখনও দেওয়াল লিখন শুরু করতে পারেননি কংগ্রেস কর্মীরা। এ ব্যাপারে ভরতপুরের বিধায়ক কংগ্রেসের কমলেশ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সালারে দেওয়াল লিখনে বাধা সৃষ্টি করছেন শাসকদলের কর্মীরা। আমাদের চিহ্নিত দেওয়ালগুলি জোর করে দখল করা হচ্ছে। যার ফলে দেওয়াল লিখনে সমস্যা হচ্ছে। যদিও শাসকদলের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, সোমবারের কর্মিসভার জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা এখনও ঠিক করতে পারেনি মহকুমা কংগ্রেস। এ ব্যাপারে দলের মহকুমা সভাপতি বলেন, আমরা একটি অনুষ্ঠানবাড়ি ও একটি প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া নেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমাদের তা ভাড়া দেওয়া হয়নি। তবে কংগ্রেসকে এভাবে আটকে রাখা যাবে না। প্রয়োজনে কংগ্রেস কর্মীরা রাস্তায় বসে কর্মিসভা করবেন।
ওই কর্মিসভায় কর্মীরা কীভাবে ভোটপ্রচার করবেন, তা ব্যাখা করবে দলের নেতৃত্ব। ওই সভায় সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করার জন্য কর্মীদের উৎসাহিত করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্থানীয় পঞ্চায়েত ভোটের বুথ ক্যাপচার, পুলিসের ভূমিকা, পঞ্চায়েত ভোটে মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা সহ কর্মীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে শাসকদলের বাধা দেওয়ার বিষয়টি ছবি সহ তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়াও উন্নয়নের নামে কীভাবে টাকা লুট হয়েছে, তা তুলে ধরা হবে। সব মিলিয়ে বলা যায়, লোকসভা ভোটের আগে কান্দি মহকুমা এলাকায় কংগ্রেস দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য ওই কর্মিসভার আয়োজন করতে চলেছে। সেখানেই কর্মিদের ব্যাপকভাবে ভোটপ্রচারে নামার নির্দেশ দেবে দলের নেতৃত্ব।