বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
আরএসপি’র টিকিটে কুমারগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনি টানা তিন বার জিতেছিলেন। তার মধ্যে দু’দফায় রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন। দশরথবাবুর চা বাগানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৃণমূল নেত্রীর নজরে আসে। তারপরেই ২০১৪ সালে তৃণমূল তাঁকে টিকিট দিয়ে লোকসভা ভোটে জেতায়। আরএসপি’তে থাকার সময় থেকেই তিনি প্রতিটি বাগান চষে বেরিয়েছেন। তখন থেকেই তিনি বাগানের শ্রমিক মহল্লাকে হাতের তালুর মতো চেনেন। গত লোকসভা ভোটে জেতার পর পাঁচ বছরে মেটেলির নাগেশ্বরী, নাগরাকাটার গ্রাসমোড়, মাদারিহাটের ডিমডিমা থেকে কুমারগ্রামের সংকোশ প্রতিটি চা বাগানে তিনি গিয়েছেন। সংসদ সদস্য হিসাবে বাগানগুলির পানীয় জল, বিদ্যুৎ ও স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে নজর দিয়েছেন।
সংসদ সদস্য তহবিলের টাকা খরচের ক্ষেত্রেও দশরথবাবু পিছিয়ে নেই। তাঁর সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট দলের সব গোষ্ঠীর মধ্যেই তাঁর গ্রহণযোগ্যতা। ২০১৪ সালের ভোটে দশরথবাবু তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বামফ্রন্ট প্রার্থী আরএসপি’র মনোহর তিরকিকে ২১ হাজার ৩৯৭ ভোটের ব্যবধানে হারান। দশরথবাবু ভোট পান ৩ লক্ষ ৬২ হাজার ৪৫৩টি। অন্যদিকে মনোহরবাবু ভোট পান ৩ লক্ষ ৪১ হাজার ৫৬টি। তৃতীয় স্থানে থাকা বিজেপি প্রার্থী বীরেন্দ্র বড়া ভোট পান ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯৫৭টি। তবে ২০১৪ সালের ভোটের পর জেলায় বামপন্থীদের আরও রক্তক্ষরণ হয়েছে। পঞ্চায়েতেই তার প্রমাণ মিলেছে। পঞ্চায়েতে বামপন্থীদের তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জেলায় উঠে এসেছে গেরুয়া শিবির। ফলে বিজেপি হেভিওয়েট কাউকে প্রার্থী করলে দু’দলের মধ্যে লড়াই হবে সমানে সমানে এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের অধীনে আছে ৮২টি চা বাগান। আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রে এবার মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ লক্ষ ৯১ হাজার ৮৩৪। এই মোট ভোটের ৪৪ শতাংশ ভোটই চা বাগানের। চা বাগানের ভোটাররাই আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে কার্যত জয় পরাজয়ে নির্ণায়ক ভুমিকা নিয়ে থাকেন। সবার আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ায় প্রচারের প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে গিয়েছে শাসক দল। অন্যদিকে, বিরোধী বিশেষ করে শাসক দলের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপি প্রার্থীর নামই এখনও ঘোষিত হয়নি। বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা অবশ্য বলেন, বুথস্তরে আমাদের সংগঠন গোছানোর কাজ শেষ। ময়নাগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী সভা করে যাওয়ার পর চা বাগানে শ্রমিকদের মধ্যে বিজেপি’র প্রতি ভরসা বেড়েছে। অপেক্ষা করুন তৃণমূল প্রার্থীকে হারাতে আমরাও জবরদস্ত প্রার্থীই দাঁড় করাব।