বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাইয়ের উপর তালিবানের হামলার বিরুদ্ধে কোনওদিন সরব হতে দেখা যায়নি তাঁকে। পেশোয়ার শহরে যে হাসপাতালে তালিবানের গুলিতে রক্তাক্ত মালালা ইউসুফজাইকে চিকিৎসা করা হয়েছিল, সেই হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তালিবানরা তো ‘ধর্মযুদ্ধ’ করছে। প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, তালিবানের প্রশংসা করার জন্য তাঁকে ঠিক এই হাসপাতালটিই বেছে নিতে হয়েছিল কেন? একসময় খাইবার পাখতুনখোয়ার আফগান সীমান্তে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো ঘাঁটিমুখী গ্যাস-জল সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দিয়েছিল তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রদেশ সরকার। ইমরানের যুক্তি ছিল, এভাবে পাইকারি দরে হত্যা করে মার্কিন-বিরোধী ভাবাবেগ তৈরি ছাড়া কিচ্ছু হবে না। অথচ, পাকিস্তান সেনাবাহিনীসহ অনেক সাধারণ পাকিস্তানির মতে, এই তালিবান জঙ্গিদের থামাতে বল প্রয়োগের কোনও বিকল্প ছিল না। কিন্তু ইমরান আমেরিকা ও তালিবান জঙ্গিদের মধ্যে চলা গেরিলাযুদ্ধে কোনও সমাধানের খোঁজ পাননি। তাঁর বক্তব্য ছিল, ১৯ শতকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীও ওই উপজাতি এলাকায় সুবিধে করতে পারেনি। কারণ, গেরিলাযুদ্ধে তালিবান জঙ্গিরা মাস্টার! তবে সেই সময়ের ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে বর্তমান সময়ের মার্কিন বাহিনীর ক্ষমতা ও যুদ্ধপ্রযুক্তির পার্থক্যটা বোধ হয় গুলিয়ে ফেলেছিলেন। প্রকাশ্যে বলেছিলেন, পাকিস্তানে তালিবানের কার্যালয় খোলার অনুমতি দেওয়া উচিত। গোটা পাকিস্তান জানে, যে মাদ্রাসায় তালিবানের শীর্ষ নেতা মোল্লা ওমর ও জালালউদ্দিন হাক্কানি পড়াশোনা করেছিল, সেই মাদ্রাসার প্রধান ব্যক্তি সামি-উল হকের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে ইমরানের পিটিআইয়ের। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পেশোয়ারে অবস্থিত সামি-উল-হকের মাদ্রাসা ‘দারুল উলুম হক্কানিয়া’তে মোটা অঙ্কের অনুদান দিয়েছিল ইমরান খানের দল পিটিআই। সব মিলিয়ে অঙ্কটা প্রায় ৫৮ কোটি পাকিস্তানি রুপি। এই সামি-উল-হকের পরিচয় কি জানেন? পাকিস্তান তাকে চেনে ‘তালিবানদের পিতা’ হিসেবে!
২০০৯ সালে সোয়াত অঞ্চলে তালিবানের সঙ্গে পাকিস্তান প্রশাসনের বিতর্কিত এক রফায় সর্বপ্রথম সমর্থন জানানো রাজনীতিক ছিলেন ইমরান খানই। হয়তো তাই, আড়ালে আবডালে ইমরানকে ‘তালিবান খান’ বলে ব্যঙ্গ করতে ছাড়েনি পাকিস্তানিরাও। ২০১৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। এই ইমরানই প্রথম বলেছিলেন, পাকিস্তানি তালিবানদেরও দেশে অফিস খুলতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত। এমনকি টেলিভিশন-রেডিওতেও পূর্বশর্ত ছাড়া তাদের কথা বলার অবাধ সুযোগ দেওয়া উচিত। তাঁর যুক্তি ছিল, আমেরিকা যদি আফগান তালিবানকে কাতারে অফিস খুলে দিতে পারে, তো পাকিস্তান তালিবানও কেন বঞ্চিত থাকবে! পরের বছর মার্চে ইমরানের দলের প্রভাবশালী নেতা ও খাইবার পাখতুনখোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী শওকত ইউসুফজাই জানালেন, তাঁর দল নাকি সবসময়ই প্রদেশটির রাজধানী পেশোয়ারে তালিবানের অফিস খোলা সমর্থন করে এসেছে। ইমরান খানের দল যে তালিবান জঙ্গিদের বাড়তি খাতিরদারি করে, তা আরও স্পষ্ট হয়।
তালিবান আমির মোল্লা ফজলুল্লার অনুমোদনেই ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকার পক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য ৫ জন ‘মধ্যস্থতাকারী’র নাম ঘোষণা করে তালিবান। তালিকায় ৩ জন ধর্মীয় নেতার সঙ্গে ছিল একজন জামাত-ই-ইসলামির নেতা ও বিস্ময়করভাবে ইমরান খান। ভবিষ্যতের কথা ভেবে দেড় দিন পর তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর পক্ষ থেকে ‘মধ্যস্থতাকারী’র প্রস্তাবকে তারিফ করে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, তালিবানের প্রতিনিধি হচ্ছেন না ইমরান। তালিবানের প্রতিনিধি হোন বা না হোন, জঙ্গিদের আস্থার জায়গাটা যে ইমরান ঠিকই পেয়েছেন, এই ঘটনায় তার প্রমাণ পেয়েছিল তালিবানপক্ষ ও বিরোধী উভয় শিবিরই। আত্ম-সাফাইয়েরও সেরা উপলক্ষ পেয়ে ইমরান বললেন, তাঁকে ‘তালেবান খান’ বলাটা ভারত-মার্কিন লবির প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছুই নয়। জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক সি ক্রিস্টিন ফেয়ার নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ‘ইমরান জঙ্গিদের বিপজ্জনকভাবে নিজের কাছে টেনেছেন। যাঁরা ইমরানকে চেনেন, তাঁরা সবাই-ই এটা জানেন।’ আসলে রাজনৈতিক স্টান্টবাজি ইমরানের মজ্জায় মজ্জায়।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের মতামত বিভাগে ফাতিমা ভুট্টোর একটি কলাম প্রকাশিত হয়েছে। পাকিস্তানের প্রথম নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর নাতনি ফাতিমা লিখেছেন, পাকিস্তানের গণতন্ত্র এখন সার্কাসে পরিণত হয়েছে। আর এই সার্কাসের আয়োজক দেশের সেনাবাহিনী। ইমরান খান সেই সার্কাসের একজন খেলোয়াড় মাত্র, আর কিছু নন। ‘আমাদের সার্কাসে শক্তিমান রিংমাস্টার আছে, আছে খাঁচায় আটকা সিংহ। এমনকী প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতাও এতে যোগ হয়েছে। এই সার্কাস শেষ হওয়ার আগে শুরু হয়েছে শেষ পারফরম্যান্স। এতে আবির্ভূত হয়েছে ক্লাউন। ইমরান খানের রাজনৈতিক রেকর্ড শুধুই সুবিধাবাদ ও আনুগত্যের।’ ২০০৬ সালের একটি ঘটনার সূত্র টেনেছেন ফাতিমা ভুট্টো। তাঁর কথায়, ওই সময় দেশের মহিলাদের সুরক্ষাসংক্রান্ত একটি বিলের বিরোধিতা করেছিলেন ইমরান খান। আইনটির কারণে ধর্ষণের শিকার হওয়া মহিলাদেরই কারাগারে যেতে হতো, ধর্ষকদের নয়। অথচ এই আইন সংস্কারের বিরোধিতা করেছিলেন ইমরান খান। নারীবাদের কট্টর বিরোধী তিনি। পাকিস্তানের ব্লাসফেমি আইন ২৯৫(সি)-এর সাফাই গাইবার পাশাপাশি ইমরান দেশের মুক্তমনা, উদারবাদীদের ‘Westoxified’ বা ‘পশ্চিমী দুনিয়ার বিষাক্রান্ত’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। অভিযোগ, এই আইনটির ফলেই পাক উগ্র ইসলামপন্থীরা বিপক্ষ মতাদর্শের, সংখ্যালঘুদের কাউকে নির্বিচারে হত্যায় আশকারা পায়। ১৯৯০ থেকে এখনও পর্যন্ত ৬৯টি হত্যা তারই প্রমাণ। পাকিস্তানে এই আইনটির বিপক্ষে সর্বশেষ যে রাজনীতিক কথা বলেছিলেন, সেই সালমান তাসিরকে ২০১১ সালে হত্যা করা হয়। এরপর থেকে কোনও রাজনীতিবিদই সচরাচর এই আইনটির বিরুদ্ধে বলে উগ্র ইসলামপন্থীদের চটাতে চাননি।
পাকিস্তানের ভূমিকে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হিসেবে অবাধে ব্যবহৃত হতে দেওয়া— ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে গোটা দুনিয়ার মূল অভিযোগ এটাই। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর থেকে ইমরান খান একবারের জন্যও প্রমাণ করতে পারেননি যে, তাঁর ‘নয়া পাকিস্তানে’ জঙ্গিদের কোনও স্থান নেই। শুধু ভারত নয়, আফগানিস্তান, ইরানও বার বার আক্রান্ত হয়েছে পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিদের হাতে। পুলওয়ামা হামলার পর ভারত আর্জি জানিয়েছিল পাকিস্তানকে যেন কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর কালো তালিকাভুক্ত হওয়া মানে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক সংস্থাগুলো থেকে সহযোগিতার রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া। ইতিমধ্যে এফএটিএফ জানিয়ে দিয়েছে আপাতত পাকিস্তানকে সরানো হচ্ছে না তাদের ধূসর তালিকা (গ্রে লিস্ট) থেকে। সেই সঙ্গে ইমরান খানের দেশকে চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা। অক্টোবরের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে না পারলে কালো তালিকভুক্ত করা হতে পারে পাকিস্তানকে। ফলে অর্থনৈতিক অথবা কূটনৈতিক ভাবে প্রবল চাপ ইমরানের উপর।
ফের স্টান্টবাজি শুরু ইমরানের। পাক সরকারের এক আধিকারিক স্বীকার করেছেন, সে দেশে জামাত-উদ-দাওয়ার প্রায় ৩০০টি ধর্মশিক্ষা স্কুল রয়েছে। হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাও চালায় তারা। জামাত-উদ-দাওয়া এবং ফলাহ-ই-ইনসানিয়তের প্রায় ৫০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক রয়েছে পাকিস্তানে। ইতিমধ্যে মাসুদের ছেলে হামাদ আজহার ও ভাই মুফতি আব্দুল রউফকে আটক করেছে পাকিস্তান। আটক করা হয়েছে জঙ্গি সংগঠনের ৪২ জন সদস্যকে। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি একটি মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে বলেছিলেন, মাসুদ অসুস্থ, তবে তিনি পাকিস্তানেই রয়েছেন। আসলে, এর আগে যখনই মাসুদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের দিকে আঙুল উঠেছে, তাদের নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গিয়ে ‘আটক’ করার কথা বলেছে পাকিস্তান। এ বারেও তা-ই করেছে তারা। সবই যে লোক দেখানো তার প্রমাণ পেতে বেশি দিন অপেক্ষা করতে হয়নি। এসবের মধ্যেই পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর দাবি করেন, ‘পাকিস্তানে জয়েশের কোনও অস্তিত্বই নেই।’
অথচ, তার কয়েক ঘণ্টা আগে প্যারিসের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) তরফে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, সন্ত্রাসে ইন্ধন জোগাতে অর্থের জোগান দেওয়া বন্ধ করুক পাকিস্তান। এই ফিনান্সিয়াল মনিটরিং সংস্থা ২০১৮ সালে পাকিস্তান জুড়ে ৮,৭০৭টি রহস্যজনক লেনদেনের কথা জানিয়েছে। যেখানে ২০১৭ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৫,৫৪৮। জানা গিয়েছে, ১০৯ জন ব্যাঙ্ক আধিকারিক ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত বিষয়ে জড়িত। এ ছাড়াও ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জানুয়ারি সালের মধ্যে চোরাপথে যাওয়া অর্থ ও গয়না মিলে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। পাকিস্তানের ছ’টি ব্যাঙ্ককে বিপুল জরিমানা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জঙ্গি সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে লোকদেখানো পদক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই করেননি ইসলামাবাদ এবং রাওয়ালপিন্ডির কর্তারা। ফলাফল সকলের চোখের সামনে। গোটা পৃথিবী এখন সন্ত্রাসবাদের সবচেয়ে বড় কারখানা হিসেবে চিহ্নিত করে ফেলেছে পাকিস্তানকে। কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চল আর নয়, প্রায় গোটা পাকিস্তানটাই এখন ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে চিহ্নিত। গোটা বিশ্ব জেনে গিয়েছে, পাঞ্জাব হোক বা খাইবার পাখতুনখোয়া, ফাতা হোক বা বালুচিস্তান— পাকিস্তানের কোনও অঞ্চলই সন্ত্রাসের ছায়া থেকে আর মুক্ত নয়।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান দায় এড়াবেন কী করে? ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার নেপথ্যে পাকিস্তানের কোনও যোগ রয়েছে, তার প্রমাণ ভারতকে দিতে হবে— একাধিকরার দাবি তুলেছেন ইমরান খান। ভারতে সন্ত্রাসের নেপথ্যে পাকিস্তানের যোগ রয়েছে কি না, তার প্রমাণ আর কত বার দিতে হবে ভারতকে? এক দশকেরও বেশি আগে মুম্বইয়ে জঙ্গিহানা হয়েছিল। সেই জঙ্গিহানার ষড়যন্ত্র যে পাকিস্তানের মাটিতে বসেই তৈরি হয়েছিল, পাকিস্তান থেকেই যে জঙ্গিরা ভারতে ঢুকেছিল, সে সব কথা গোটা বিশ্বের জানা। শুধু পাকিস্তান মানতে চায় না। অকাট্য প্রমাণকেও প্রমাণ হিসেবে গণ্য করতে চায় না। জয়েশ-ই-মহম্মদ যে পাকিস্তানের ভূখণ্ড থেকেই পরিচালিত হচ্ছে, ইমরান খান কি এবার তার প্রমাণ চাইবেন? জয়েশ-ই-মহম্মদ যে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন এবং মৌলানা মাসুদ আজহার যে কুখ্যাত জঙ্গি ইমরান কি এখন তারও প্রমাণ চাইবেন? পাক সেনার মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর তো সেই বার্তাই দিয়েছেন।
ইমরান খান বলেছেন, পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে বিদেশে কোনও সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চালাতে দেবে না তাঁর সরকার। কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীকে নাকি তিনি বরদাস্ত করবেন না। বিরোধী দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো তার জবাবে ঠাট্টা করে বলেছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই অভিযান যেন লোকদেখানো না হয়।
ইমরান (তালিবান খান), আপনার দেশেই আপনার মুখোশটা যে খসে পড়েছে!