সংবাদদাতা, বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদে নিজের কাজে এসে ঠিকাদারের হাতে আক্রান্ত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন কবাডি খেলোয়াড় হাবিব আলি। কৃষি কর্মাধ্যক্ষের ঘরে হাবিব বসে থাকার সময় আচমকা এক ঠিকাদার এসে তাঁকে টেন্ডারের কাগজপত্র তুলে নিতে বলে। জমার কলার ধরে তাঁকে টানা-হ্যাঁচড়া করা হয়। ধাক্কাধাক্কিও করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় জেলা পরিষদের অফিসে চাঞ্চল্য ছড়ায়। জেলা পরিষদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এলে অভিযুক্ত ঠিকাদার চলে যায়। এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ওই কবাডি খেলোয়াড়। ঘটনার বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করার কথা জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি মৌখিকভাবে তিনি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডুকে জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ব্যক্তিগত কাজে জেলা পরিষদে আসেন কবাডি খেলোয়াড় হাবিব। তিনি কবাডিতে রাজ্যের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশিক্ষকও ছিলেন তিনি। জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইলের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কৃষি কর্মাধ্যক্ষ অফিসের কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি তাঁর চেম্বারেই বসেছিলেন। আচমকা এক ঠিকাদার এসে তাঁকে টেন্ডারপত্র তুলে নিতে চাপ দেয়। তিনি টেন্ডার জমা দিতে আসেননি বলে ঠিকাদারকে জানান। তা সত্ত্বেও ঠিকাদার তাঁর কথা শুনতে চাননি। হাবিব বলেন, কীসের টেন্ডার তা জানতে চাই। টেন্ডার জমা দিতে আসিনি বলে ঠিকাদারকে জানাই। কিন্তু, ঠিকাদার কোনও কথা শুনতে রাজি হয়নি। জামার কলার ধরে আমাকে টানা-হ্যাঁচড়া করা হয়। আমাকে হেনস্তা করা হয়। বিষয়টি সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতিকে জানিয়েছি। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকেও ঘটনার কথা বলেছি। এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করব। কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বলেন, আমার অনুমতি ছাড়াই অভিযুক্ত ঠিকাদার আমার চেম্বারে ঢুকেছিল। হাবিবকে ভুল বুঝে মারধর করেছে ঠিকাদার। বিষয়টি উপরমহলে জানিয়েছি। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বলেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য কয়েকদিন জেলা পরিষদে যেতে পারিনি। এ ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। তা শুনেছি। কেন এমন হল তা খতিয়ে দেখা হবে। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। দেবু টুডু বলেন, ওই ঠিকাদারকে কোনও কাজ দেওয়া হবে না। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। জেলা পরিষদে কোনওরকম ঠিকাদাররাজ চলতে দেওয়া হবে না।