বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বিজেপি ছাড়ার পর শত্রুঘ্নের পরবর্তী রাজনৈতিক গন্তব্য কী হতে চলেছে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা তুঙ্গে। এই জল্পনার মধ্যেই কানাঘুষো খবর, বিহারের বিরোধী মহাজোটে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। সম্ভবত সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই মহাজোট শিবিরে যোগদান করবেন বিজেপির এই কোণঠাসা এমপি। তবে কংগ্রেস না আরজেডি, শত্রুঘ্ন কোন দলে ভিড়বেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। কোন দলের টিকিটে তিনি প্রার্থী হবেন, ২২ মার্চ তা স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে খবর। তার আগে এদিন একের পর এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা বানালেন পাটনা সাহিবের এমপি। পাঁচ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা সত্ত্বেও মোদি একবারের জন্যও সাংবাদিক বৈঠক করেননি। তা নিয়ে মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন শত্রুঘ্ন। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর তোপ, ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। মহাশয়, এবার তো অন্তত একটা সাংবাদিক বৈঠক করুন। একটা মুক্ত ও পরিচ্ছন্ন প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিন। যা সাজানো বা রিহার্সাল করা হবে না। গোটা মেয়াদে একটিও প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ না নেওয়া গণতান্ত্রিক বিশ্বের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে কুখ্যাত হবেন আপনি।
ভোট ঘোষণার আগে এই একমাসে নিজের কেন্দ্র বারাণসী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সব মিলিয়ে ১৫০টি প্রকল্পের ঘোষণা করা নিয়েও মোদিকে এদিন তুলোধোনা করেছেন শত্রুঘ্ন। তাঁর বক্তব্য, এমনিতে এটা নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ নয়। তবে গোটা বিষয়টি যে আরও একটি ‘জুমলা’, তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না।
নয়ের দশক থেকে বিজেপিতে থাকা শত্রুঘ্ন অটলবিহারী বাজপেয়ি সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। আর পাটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে তিনি টানা দু’বারের বিজেপি এমপি। কিন্তু মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দলে কোণঠাসা হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীকে সমালোচনা করছিলেন। সরব হয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধেও। দু’জনকে একযোগে কটাক্ষ করেছেন বহুবার। শত্রুঘ্নের কথায়, আজকের বিজেপি ‘ওয়ান ম্যান আর্মি, টু-ম্যান শো’। মোদি ও অমিত শাহকে সমালোচনার পাশাপাশি সম্প্রতি বিরোধী দলগুলির যৌথ মঞ্চেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এই অবস্থায় অভিনয়ের জগৎ থেকে রাজনীতিতে পা রাখা শত্রুঘ্নের ইঙ্গিত, পাটনা সাহিব থেকেই প্রার্থী হবেন তিনি। তবে এবার পরিস্থিতি পাল্টে গিয়েছে। অর্থাৎ কেন্দ্র না বদলালেও দল বদল এখন সময়ের অপেক্ষা।