বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ১৪ মার্চ: রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলেও তাদের নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে যৌথ নির্বাচনী প্রচার করবে না সিপিএম। তবে বিভিন্ন কেন্দ্রে স্থানীয়স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গেই যৌথভাবে বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী প্রচারাভিযান চালাবেন সংশ্লিষ্ট সিপিএম প্রার্থীরা। কংগ্রেসের সঙ্গে সখ্যের প্রশ্নে যাবতীয় বিতর্ক এড়িয়ে যেতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। সিপিএম সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়েছে, প্রকাশ্যে তা স্বীকারই করেন না সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতারা। অথচ গত প্রায় এক বছর ধরে সিপিএমের প্রায় সবকটি পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা ছিল এটিই। অর্থাৎ সিপিএম-কংগ্রেস জোট। দলের সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টিতে সম্মতি দিয়েছে সিপিএমের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি। কিন্তু সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যে কংগ্রেসের জেতা চারটি আসনে যেমন সিপিএম প্রার্থী দেবে না, তেমনই সিপিএমের জেতা দুটি আসনেও প্রার্থী দেওয়া উচিত নয় কংগ্রেসের (মিউচুয়াল কনটেস্ট)।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াদিল্লির এ কে গোপালন ভবনের অন্দরের খবর, এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলায় কেন্দ্রীয়ভাবে কংগ্রেস এবং সিপিএম যৌথভাবে নির্বাচনী প্রচারে নামলে পুরো বিষয়টি ফের বিতর্কিত হয়ে যাবে। সবথেকে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করবে বামফ্রন্টের শরিক দলগুলিই। কারণ বামফ্রন্টের অন্য তিন শরিক দল সিপিআই, আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক রাজ্যে নিজেদের মোট ১০টি আসন নিয়ে কার্যত এককাট্টা। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রশ্নে এই ১০টি আসন ছেড়ে দিতে তারা একপ্রকার নারাজ। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সিপিএমের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা মিটিং-মিছিল করলে তা নিয়ে বামেদের অন্দরেই ফাটলের সৃষ্টি করবে।
দলীয় সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি এক্ষেত্রে আর দেখা যাবে না। অর্থাৎ রাহুল গান্ধী-বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যেমন এক ফ্রেমে আসবেন না, তেমনই আগের মতোই অধীররঞ্জন চৌধুরির সভা শেষের পরেই মঞ্চে উঠবেন সীতারাম ইয়েচুরি। কিন্তু স্থানীয়স্তরে এলাকার দুই দলের নেতারাই যৌথভাবে প্রচার চালাবেন। যাতে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের মানুষের মধ্যে এই ইস্যুতে কোনওরকম বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয়। এবং এক্ষেত্রে মহিলাদের উপর হামলা-সন্ত্রাস, উজ্জ্বলা যোজনার মতো একাধিক বিষয়ে বামপন্থী মহিলা সংগঠনগুলিকেও ময়দানে নামাচ্ছে সিপিএম ও অন্য বাম দলগুলি। এদিন এখানে সিপিএমের মহিলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম ধাওয়ালে বলেন, ‘বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবারের আমলে সারা দেশেই মহিলা ও শিশুদের উপর হামলা সন্ত্রাসের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনার নামে গরিব মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এইসব ইস্যুতে আমরা বিজেপি বিরোধিতায় সরব হব।’
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হয়েছে, প্রকাশ্যে তা স্বীকারই করেন না সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতারা। অথচ গত প্রায় এক বছর ধরে সিপিএমের প্রায় সবকটি পলিটব্যুরো এবং কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা ছিল এটিই। অর্থাৎ সিপিএম-কংগ্রেস জোট। দলের সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার বিষয়টিতে সম্মতি দিয়েছে সিপিএমের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটি। কিন্তু সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যে কংগ্রেসের জেতা চারটি আসনে যেমন সিপিএম প্রার্থী দেবে না, তেমনই সিপিএমের জেতা দুটি আসনেও প্রার্থী দেওয়া উচিত নয় কংগ্রেসের (মিউচুয়াল কনটেস্ট)।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কার্যালয় নয়াদিল্লির এ কে গোপালন ভবনের অন্দরের খবর, এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলায় কেন্দ্রীয়ভাবে কংগ্রেস এবং সিপিএম যৌথভাবে নির্বাচনী প্রচারে নামলে পুরো বিষয়টি ফের বিতর্কিত হয়ে যাবে। সবথেকে বেশি সমস্যার সৃষ্টি করবে বামফ্রন্টের শরিক দলগুলিই। কারণ বামফ্রন্টের অন্য তিন শরিক দল সিপিআই, আরএসপি এবং ফরওয়ার্ড ব্লক রাজ্যে নিজেদের মোট ১০টি আসন নিয়ে কার্যত এককাট্টা। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতার প্রশ্নে এই ১০টি আসন ছেড়ে দিতে তারা একপ্রকার নারাজ। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সিপিএমের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা মিটিং-মিছিল করলে তা নিয়ে বামেদের অন্দরেই ফাটলের সৃষ্টি করবে।
দলীয় সূত্রের খবর, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মতো পরিস্থিতি এক্ষেত্রে আর দেখা যাবে না। অর্থাৎ রাহুল গান্ধী-বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যেমন এক ফ্রেমে আসবেন না, তেমনই আগের মতোই অধীররঞ্জন চৌধুরির সভা শেষের পরেই মঞ্চে উঠবেন সীতারাম ইয়েচুরি। কিন্তু স্থানীয়স্তরে এলাকার দুই দলের নেতারাই যৌথভাবে প্রচার চালাবেন। যাতে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের মানুষের মধ্যে এই ইস্যুতে কোনওরকম বিভ্রান্তির সৃষ্টি না হয়। এবং এক্ষেত্রে মহিলাদের উপর হামলা-সন্ত্রাস, উজ্জ্বলা যোজনার মতো একাধিক বিষয়ে বামপন্থী মহিলা সংগঠনগুলিকেও ময়দানে নামাচ্ছে সিপিএম ও অন্য বাম দলগুলি। এদিন এখানে সিপিএমের মহিলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মারিয়াম ধাওয়ালে বলেন, ‘বিজেপি-সঙ্ঘ পরিবারের আমলে সারা দেশেই মহিলা ও শিশুদের উপর হামলা সন্ত্রাসের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। উজ্জ্বলা যোজনার নামে গরিব মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। এইসব ইস্যুতে আমরা বিজেপি বিরোধিতায় সরব হব।’
