বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
রাজ্যের ৮৪টি জুট মিলের প্রায় আড়াই লক্ষ শ্রমিকের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে গত পয়লা মার্চ থেকে এই শিল্পে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল সিটু সহ বিভিন্ন সংগঠন। পরে তা পিছিয়ে ১৫ মার্চ থেকে করার কথা হয়। লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর শেষঅবধি তারা একদিনের প্রতীকী ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে, নতুন বেতন চুক্তির জন্য সরকার, শ্রমিক সংগঠন ও মালিকপক্ষের মধ্যে ত্রিপাক্ষিক আলোচনা শুরু হয়। বুধবার বেশি রাত পর্যন্ত নিউ সেক্রেটারিয়েটে শ্রমমন্ত্রী সহ শ্রম দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিক, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও মালিকপক্ষের মধ্যে বৈঠক চলে। নতুন বেতন চুক্তি চূড়ান্ত হয়। কিন্তু ওই চুক্তিতে সিটু সহ সাতটি বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন শামিল হয়নি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রেস ক্লাবে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি সাংবাদিক বৈঠক করে ১৫ তারিখের ধর্মঘট থেকে সরে না আসার কথা জানায়। মালিকদের স্বার্থে তৈরি করা নতুন বেতন চুক্তিতে শ্রমিকদের কার্যত ‘ভিক্ষা’ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সিটুর রাজ্য সভাপতি অনাদি সাহু। এর কিছু সময় পরেই নিউ সেক্রেটারিয়েটে সাংবাদিক বৈঠক করেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। সেখানে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভানেত্রী দোলা সেন, আইএনটিইউসি’র নেতা গণেশ সরকার সহ চুক্তিতে শামিল হওয়া ১৫টি শ্রমিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক বৈঠকে মলয়বাবু বলেন, বামফ্রন্ট সরকারের সময় পাটশিল্পে বেতন চুক্তিতে শ্রমিকদের স্বার্থ দেখা হতো না। চুক্তি রূপায়ণের পর বকেয়া ডিএ পর্যন্ত দেওয়া হতো না। এবার শ্রমিক স্বার্থ বজায় রেখেই চুক্তি করা হয়েছে। ২০১৫ সালে বেতন চুক্তির সময় পাঁচ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি হয়েছিল। এবার বৃদ্ধির হার ১২ শতাংশ।
মলয়বাবু ও দোলাদেবী সাংবাদিক বৈঠকে নতুন বেতন চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানান। ২০১৫ সালের চুক্তিতে নতুন কাজে ঢোকা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫৮ টাকা করা হয়েছিল। এবার তা বেড়ে ৩৭০ টাকা হচ্ছে। এরসঙ্গে পিএফ সহ অন্যান্য সুবিধা ধরলে দৈনিক মজুরি প্রায় সাড়ে পাঁচশো টাকা ছোঁবে। গতবার শ্রমিকদের দিনে এক টাকা করে মূল বেতন বাড়ানো হয়েছিল। এবার দু’টাকা করে মূল বেতন বেড়েছে। মাসে ২৬ দিন কাজ করলে দিনে আরও ১৩ টাকা করে বেতন বাড়বে। স্পেশাল বদলি থেকে স্থায়ী শ্রমিক এবং এক্সট্রা বদলি থেকে স্পেশাল বদলি হওয়ার জন্য ২০ হাজার শ্রমিক উপকৃত হবেন। অস্থায়ী থেকে স্থায়ী শ্রমিক পদে উন্নীত হওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। অন্যদিকে অনাদিবাবুর দাবি, দিনে মাত্র দু’টাকা মজুরি বৃদ্ধি আজকের দিনে মানা যায় না। তাঁরা মাসে একশো টাকা বৃদ্ধির দাবি করেছিলেন।