বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
শীতলকুচিতে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, গোটা দেশ বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদিকে হটাতে চাইছে। বিগত নির্বাচনে দেশের একাধিক রাজনৈতিক দল নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী লড়াই করেছিল। এবারে সবাই মতাদর্শ বজায় রেখে একটি ফেডারেল ফ্রন্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হিন্দি বলয়ে বিজেপি এবারে শূন্য পাবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকেও তাদেরকে শূন্য হাতে ফিরতে হবে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লোকপ্রসার প্রকল্পে কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হয়েছে। তবে উল্লেখযোগ্যভাবে এদিন প্রার্থী বদল নিয়ে তিনি একটি কথাও বলেননি। শীতলকুচি থেকে প্রচার শুরুর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, শীতলকুচি বিগত বাম আমলের সবচেয়ে অত্যাচারিত এলাকা। তাই শীতলকুচি থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করা হয়েছিল। এদিন লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সূচনাও এখান থেকে করা হল। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শীতলকুচির বিধায়ক হিতেন বর্মন বলেন, বিগত বাম ও তারও আগে কংগ্রেসের আমলে যা উন্নয়ন শীতলকুচিতে হয়নি তার তিনগুণ উন্নয়ন হয়েছে তৃণমূলের আমলে। সাত বছরের সময়কালে তাই উন্নয়নকে তরান্বিত করতে দলনেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। সেকারণে দলীয় প্রার্থী পরেশবাবুকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করতে হবে।
এদিকে প্রথম নির্বাচনী সভায় তৃণমূল প্রার্থী উপস্থিত না থাকায় কর্মীদের মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে বক্তব্যের মাঝখানে জেলা সভাপতি জানিয়ে দেন দলনেত্রী এদিন কয়েকজন প্রার্থীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেকারণে এদিনই পরেশবাবু কলকাতায় গিয়েছেন। শুক্রবারই তিনি কোচবিহারে ফিরবেন। এরপর প্রতিটি ব্লক ও পাঁচ-ছয়টি অঞ্চল ধরে আমরা সভা করব। অঞ্চল সভাপতিরা প্রতিটি বুথ ধরে সভা করবেন। ব্লক সভাপতিরা অঞ্চল ধরে সভা করবেন। প্রার্থী এদিন প্রথম সভায় আসতে পারেনি। তিনি শীতলকুচিতে পরবর্তীতে আসবেন। এব্যাপারে ফোনে পরেশবাবুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।