কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার রাতে গুরুতর জখম অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয় সুভাষগঞ্জের বাসিন্দা সুরজিৎ দাসকে। ভর্তির কিছুক্ষণ পরেই অভিযুক্ত দুই ব্যক্তি সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের সামনে একটি বোতলে পেট্রোল নিয়ে সুরজিতের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাঁর শরীরে পেট্রোল ঢালতে শুরু করে। টের পেয়ে সুরজিৎ সার্জিক্যাল ওয়ার্ড থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন। ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় মেডিক্যালে।
সুরজিতের মামা ছোটন দাস বলেন, প্রকাশের কাছে টাকা পেত ভাগ্নে। সেই টাকা বৃহস্পতিবার চাইতে গেলে তার সঙ্গে বচসা হয়। এরমাঝে রামপ্রসাদও বচসায় জড়িয়ে পড়ে। তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে রামপ্রসাদের এক আত্মীয় ইট দিয়ে সুরজিতের মাথায় আঘাত করে। জখম অবস্থায় সুরজিতকে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এরপরই মেডিক্যালে ঢুকে সুরজিতকে প্রাণে মারার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। সুরজিত্ আতঙ্কে ছয়তলায় সার্জিক্যাল ওয়ার্ড থেকে দৌড়ে নীচে চলে আসে। এই ঘটনায় সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের পুরুষ ও মহিলা বিভাগের রোগী ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভয় পেয়ে যান। তাঁরাও ছুটোছুটি শুরু করেন। রায়গঞ্জ মেডিক্যালের ভারপ্রাপ্ত এমএসভিপি ভাস্কর দেবনাথ বলেন, ঘটনাটি নজরে আসতেই নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের জানান। আমরা দ্রুত পুলিসকে খবর দিই। পুলিস চটজলদি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়।
কীভাবে মেডিক্যালের ভিতর ঢুকে গেল অভিযুক্তরা? ভারপ্রাপ্ত এমএসভিপি জানান, রোগীর আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে ওই দুই ব্যক্তি হাসপাতালে পেট্রোল নিয়ে ঢোকে।
রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ধৃতদের আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুরোটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিস।