কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
গত মঙ্গলবার হাসপাতালে ভ্যাটের তালা ভাঙার অভিযোগে পুলিস চন্দন মল্লিক নামে এক অস্থায়ী সাফাইকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। বহিরাগত আরও একজনকে ধরে পুলিস। ধৃত সাফাইকর্মীর বক্তব্য, সুপারভাইজারের নির্দেশেই ভ্যাটের চাবি না পেয়ে তালা ভেঙে জঞ্জাল রেখেছিল। সেই সুপারভাইজারকে পুলিস ডেকেও গ্রেপ্তার করেনি। সেখানে চন্দনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে সাফাই কর্মীরা বুধবার সকাল থেকে ধর্মঘট আন্দোলনে নামেন।
এদিন সকালেও ধর্মঘট জারি রেখে বিজয় মল্লিকের নেতৃত্বে সাফাইকর্মীরা টিকিট কাউন্টার ও আউটডোর খুলতে বাধা দেন। অবশেষে পুলিসি হস্তক্ষেপে ১১টা নাগাদ টিকিট কাউন্টার খোলে এবং আউটডোর চালু হয়। তারপর হাসপাতাল সুপারের অফিসের সামনে সাফাইকর্মীরা বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন। সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক হাসপাতালে পৌঁছলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। ধৃত চন্দন মল্লিকের মুক্তির দাবিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘেরাও চলে। পরে ঘেরাও উঠলেও অবস্থান থেকে সরে না আসার কথা তাঁরা জানান।
সাফাইকর্মীদের আন্দোলনের জেরে হাসপাতালে পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার কথা স্বীকার করেন সুপার। তিনি বলেন, অস্থায়ী সাফাইকর্মীদের আন্দোলনের ফলে বহু অস্ত্রোপচার বাতিল হয়েছে। আউটডোর পরিষেবাও দেরিতে শুরু হয়েছে। হাসপাতালের তরফে থানায় চুরির অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। পুলিস তদন্তে নেমে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা কারও নামে অভিযোগ দায়ের করিনি।
আন্দোলনকারীদের তরফে মনোজ মল্লিক বলেন, চন্দন মল্লিক ছাড়া না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এদিকে, পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে চন্দন মল্লিককে সুপারভাইজার তালা ভাঙতে বললেও সে তালা ভাঙেনি। মহম্মত ইসাদুল নামে বহিরাগত এক ব্যক্তিকে দিয়ে চন্দন তালা ভাঙিয়েছে। ভ্যাট থেকে স্যালাইনের বোতল সহ অন্যান্য জিনিস নিয়ে গিয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে সেই ছবি দেখার পর চন্দন ও মহম্মদ ইসাদুলকে গ্রোপ্তার করা হয়।
এই বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট ইসাদুলের কাছ থেকে কেনার দায়ে এদিন পুলিস বিশ্বনাথ সরকার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। মেডিক্যাল ফাঁড়ির পুলিস জানিয়েছে, হাসপাতালে বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট চুরির একটি চক্র অনেকদিন ধরেই সক্রিয়। মহম্মদ ইসাদুল, বিশ্বনাথ সরকার তাদের অন্যতম। মেডিক্যালের একাংশ কর্মীর সহযোগিতায় তারা অবাধে এখান থেকে এসব চুরি করছে। তাই চন্দন মল্লিককে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতে পারছে না পুলিস। সেই মতো তদন্ত চলছে। নিজস্ব চিত্র।