কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
মালদহের সদর মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং বৃহস্পতিবার বলেন, রাস্তায় গোরু দেখলেই এবার থেকে আইন মেনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ শহর এবং পুরাতন মালদহ ব্লকের সাহাপুরে নির্দিষ্ট খাটাল নেই। বাড়িতে না পুষে রাস্তায় গোরু ছেড়ে দিচ্ছেন গো-পালকরা। ফলে গবাদি পশুর দখলে চলে যাচ্ছে ইংলিশবাজার শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ফোয়ারা মোড়। এর ফলে ঘনঘন ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তায় সৃষ্টি হচ্ছে ব্যাপক যানজট। এবিষয়ে একাধিকবার খবর প্রকাশিত হয়েছে ‘বর্তমান’ পত্রিকায়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংলিশবাজার ও পুরাতন মালদহ পুরসভা মিলিয়ে মোট ১১৪ জন গো-পালককে চিহ্নিত করা হয়েছে। পুরসভার সঙ্গে এই দুই থানা, প্রাণী সম্পদ দপ্তর সহ গো-পালকদের নিয়ে এদিন জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকেন মালদহের সদর মহকুমা শাসক। বৈঠকে গো-পালকদের বোঝানো হয়, তাঁদের গোরু রাস্তায় চলাচলের ফলে হামেশাই দুর্ঘটনা ঘটে। গোবরের জন্য রাস্তাঘাট নোংরা হয়ে যাওয়ার কথাও জানানো হয়। এরপরেই মালিকদের সতর্ক করে প্রশাসন। এদিন ইংলিশবাজার পুরসভার তরফে বৈঠকে ছিলেন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল সদস্য শুভময় বসু। তিনি বলেন, যেভাবে গো-পালকরা রাস্তায় গোরু ছেড়ে দিচ্ছেন, তাতে ব্যাপক যানজট হচ্ছে। একইভাবে রাস্তায় অযত্নে থাকার ফলে কিছু গোরুর বাচ্চাও মারা গিয়েছে। কাজেই এটা বন্ধ করতে হবে।
শহরের মধ্যে গোরু পালন করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু সরকারি নিয়ম আছে। এদিনের বৈঠকে গো-পালকদের সেই সমস্ত আইন সম্পর্কে জানানো হয়।
শুভময় বসু আরও জানান, ইংলিশবাজার এবং পুরাতন মালদহ থানা এবার গো-পালকদের চিহ্নিত করেছে। গো-পালন নিয়ে পুরসভার কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু গোরু রাস্তায় ছেড়ে দেওয়াটা আইনবিরুদ্ধ কাজ। রাস্তায় গবাদি পশুর অবাধ বিচরণ রুখতে জরুরি বৈঠক প্রশাসনের।-নিজস্ব চিত্র