কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
ময়নাগুড়ির বিডিও ফিন্টোশ শেরপা বলেন, আমার কাছে আমগুড়ির টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে ঠিকাদাররা একাধিক অভিযোগ করেছেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি তদন্ত শুরু করেছি। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কিছু অসঙ্গতি আমি লক্ষ্য করেছি এবং সেবিষয়ে ১৩ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রধানকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। প্রধান উপযুক্ত কারণ দর্শাতে না পারলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিলীপ রায় বলেন, আমার তো মনে হয় না টেন্ডার প্রক্রিয়ায় কোনও অনিয়ম হয়েছে। সমস্তটাই বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনে হয়েছে। একজন ঠিকাদার ১০টি কাজের মধ্যে ন’টি কাজ পেয়েছেন। তিনি সিস্টেমের মধ্যেই তা পেয়েছেন। কেউ যদি একাধিক কাজ পায় তাতে আমার ব্যক্তিগত কোনও ব্যাপার নেই। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া নিয়ম মেনেই হয়েছে।
সম্প্রতি আমগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১০টি কাজের জন্য ই-টেন্ডার করা হয়েছিল। এই ১০টি কাজের বরাদ্দকৃত অর্থ ১ কোটি ২১ লক্ষ টাকা। ঠিকাদারদের অভিযোগ,ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় প্রথমে বলা হয়েছিল কাজের বায়নার অর্থ অফিসে এস জমা করতে হবে। সেইমতো ২২ নভেম্বর বায়নার টাকা অফিসে জমা দিতে এলে পঞ্চায়েত অফিসের গেটের সামনে দুষ্কৃতীরা ঠিকাদারদের মারধর করে। সেসময় ঠিকাদাররা ই-টেন্ডারের ক্ষেত্রে অফিসে এসে টাকা জমা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ঠিকাদার কৌশিক চক্রবর্তী বলেন, আমরা অফিসে বায়নার টাকা জমা করতে না পেরে পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে অভিযোগ করি। তিনি আমাদের বায়নার টাকা ব্যাঙ্ক ড্রাফট করতে বললে আমরা তাই করি। নিয়মানুসারে আমরা ২৬ নভেম্বর নথিপত্র অফিসে জমা করি। কিন্তু গত সপ্তাহে আমরা জানতে পারেছি আমাদের কাগজ বাতিল হয়েছে। কারণ হিসাবে বলা হয়েছে আমরা বায়নার টাকা জমা করিনি। আমাদের প্রশ্ন আমরা যদি বায়নার টাকা জমা না করি তবে আমাদের কাছে টাকা জমা করার আসল রসিদ এল কীভাবে? আমাদের প্রশ্ন আমাদের চেয়ে কম দর দিয়ে একজন ঠিকাদারই কীভাবে ১০টি কাজের মধ্যে ন’টি পেল। এনিয়ে আমরা বিডিওকে বিস্তারিত জানিয়ে অভিযোগ করেছি।