কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
শিলিগুড়ির মহকুমা শাসক বলেন, বেআইনিভাবে বালাসন নদী থেকে বালি তোলার অভিযোগ পেয়ে বিএলএলআরওকে নিয়ে ওই ঘাটে হানা দিই। অভিযুক্তরা পালিয়ে গেলেও বালি তোলার কয়েকটি মেশিন বাজেয়াপ্ত করে পুলিসের হাতে দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনা পুলিসের কাছে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে। এখন ওই ঘটনা নিয়ে যা করার পুলিস করবে। শিলিগুড়ি ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পশ্চিম) অতুল ভি বলেন, প্রশাসনের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ঘটনা নিয়ে অবৈধ মাইনিং অ্যান্ড মিনারেলস আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
মাটিগাড়া থানার কাওয়াখালিতে বালাসন নদীতে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য বহুদিনের। মাঝেমধ্যে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর ওই ঘাটে অভিযান চালিয়েও মাফিয়াদের দাপট বন্ধ করতে পারেনি। রবিবার ছুটির দিনও বালাসন নদীর ওই ঘাট থেকে অবাধে বালি তোলা হচ্ছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকালে ওই অভিযোগ মেলার সঙ্গে সঙ্গেই মহকুমা শাসক ওই এলাকায় যান। বালাসন সেতু থেকে তিনি বালি তোলার ঘটনা লক্ষ্য করার পর মাটিগাড়ার ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে ফোনে ডাকেন। তখনই রেভিনিউ ইন্সপেক্টারকে নিয়ে স্কুটিতে করে বালাসন সেতুর কাছে যান ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক দুর্জয় রায়। তারপর ওই আধিকারিকদের নিয়ে ঘাটে হানা দেন মহকুমা শাসক। সেসময় অভিযুক্তরা ঘাট ছেড়ে বালি বোঝাই ডাম্পার নিয়ে চম্পট দেয়।
প্রশাসনের আধিকারিকরা বলেন, ওই এলাকায় প্রশাসনের অনুমোদিত বালি খাদান রয়েছে। পাশেই বেআইনিভাবে তিনটি মেশিন দিয়ে বালি তুলছিল মাফিয়ারা। সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তরা বালি ডাম্পারে বোঝাই করছিল। ঘটনাস্থলে ছিল ছ’টি ডাম্পার। সেখানে হানা দিতেই অভিযুক্তরা বেপরোয়াভাবে ডাম্পার চালিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। দু’টি ডাম্পারের নম্বর নথিভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ওই নম্বরগুলি দিয়েই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। শিলিগুড়ি ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পশ্চিম) বলেন, দু’টি ডাম্পারের নম্বর যাচাই করা হচ্ছে। এজন্য এআরটিও অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। শীঘ্রই ডাম্পারগুলির মালিককে চিহ্নিত করে যাথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।
শুধু বালাসন নয়, শিলিগুড়ি শহর ও গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন নদীতে বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য চলছেই। অভিযোগ, অপরিকল্পিতভাবে নদীর বুকে বালি খাদান গড়ে তুলেছে মাফিয়ারা। রয়্যালটি ফাঁকি দিয়ে তারা অবাধে বালি পাচার করছে। এবার বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান চালানোর পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। রবিবারের ওই ঘটনার পর এদিন মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকরা বৈঠক করেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেআইনি বালি খাদানের বিরুদ্ধে আগামী তিন মাস লাগাতার অভিযান চলবে। এজন্য প্রতিটি বিএলএলআরও অফিসকে প্রয়োজনীয় গাড়ি ভাড়া করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, অভিযানের সময় পুলিসকে সঙ্গে নিতে বলা হয়েছে আধিকারিকদের।
প্রসঙ্গত, মহকুমায় বৈধ বালি খাদানের সংখ্যা ৩৮টি। এর বাইরে বেআইনিভাবে আরও ২০টির মতো খাদান চলছে। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, অভিযানের সময় পুলিসকে সক্রিয়ভাবে পাওয়া যায় না। অতীতের বিভিন্ন অভিযানের অভিজ্ঞতা থেকেই তারা এমন অভিযোগ তুলেছে। পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা অবশ্য বলেন, এবার যৌথ অভিযানে সেধরনের ঘটনা ঘটবে না। সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।