কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাত থেকে আধার কার্ড সংশোধন ও নতুন নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য বাইরে লম্বা লাইন লেগে গিয়েছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সময়মতো ব্যাঙ্ক খোলেনি। তাই লাইনে দাঁড়ানো মানুষ ধৈর্য হারিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। এদিকে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের কারণে এদিন ব্যাঙ্কের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে। অনেক গ্রাহকই ব্যাঙ্কে এসে ঘুরে গিয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দা সুরাইয়া বিবি বলেন, এদিন ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম। এদিন সময় মতো ব্যাঙ্ক খোলেনি। একসময় লাইনে যাঁরা দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। কোনওমতো গোলমাল থেকে সরে এসেছি।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় দাস বলেন, ব্যাঙ্কে আধার কার্ডের জন্য অনেকে লাইন দিয়েছিলেন। সেই সময় লাইন থেকে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। উত্তেজিত জনতা এটিএমের কিছু অংশ ভাঙচুর করে। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছি। তবে ব্যাঙ্কের ভিতরে কোনও ক্ষতি হয়নি। কেন এধরনের ঘটনা ঘটল তা আমরা খতিয়ে দেখছি।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিডিও প্রীতম সাহা বলেন, একসঙ্গে প্রচুর লোক ব্যাঙ্কে আধার কার্ডের কাজের জন্য চলে আসায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এনিয়ে খোঁজ নেওয়া হয়েছে। যদিও আধার কার্ড নিয়ে আমাদের কিছু করার কোনও ক্ষমতা নেই। এটি পুরোপুরি কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। এদিনের কথা আমি ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।
ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ম্যানেজার এম হাঁসদা বলেন, আধার কার্ডের কাজের জন্য ৩০ জনকে ফর্ম দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এদিন সকাল থেকে আধার কার্ডের কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রচুর মানুষ একসঙ্গে লাইনে চলে আসায় বিশৃঙ্খলা হয়। যদিও পরে পুলিসের সাহায্যে ব্যাঙ্ক খোলা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মশালদহ ভালুকা রোডের উপর ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে বেশ কিছুদিন আগে আধার কার্ড সংশোধন ও নাম নথিভুক্তকরণ হত। তা কিছুদিন চলার পর বন্ধ হয়ে যায়। তারপর আবার এদিন থেকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ৩০ জন করে আবেদনকারীর আধার কার্ড সংশোধন ও নাম নথিভুক্ত করবে বলে প্রচার করেছিল। তাই হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়া, চাঁচলের কয়েক হাজার বাসিন্দা রাত থেকেই ব্যাঙ্কের সামনে লাইন দেন। এদিন সকাল দশটা বেজে গেলেও ব্যাঙ্ক খোলা হয়নি বলে অভিযোগ। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা ইট, পাথর, লাঠিসোটা নিয়ে ব্যাঙ্কের দরজা ভাঙার চেষ্টা করে। পাশে থাকা এটিএম কাউন্টারও ভেঙে তছনছ করে দেয়।