কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন, পুরসভার সার্ধশতবর্ষ সমাপ্তি অনুষ্ঠান এবার জমজমাট হবে। আমরা চন্দননগরের আলো দিয়ে শহরকে সাজিয়ে তুলব। দেড়শো বছর পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে কার্নিভালের আয়োজন করব। সেখানে বাইরে থেকে নামী দামি শিল্পীরা আসবেন। এবছর চমক হিসেবে থাকছেন বলিউড-টলিউডের সঙ্গীত শিল্পীরা। তবে কোন কোন শিল্পীকে নিয়ে আসা হবে তা এখনও ঠিক করা হয়নি। এছাডাও এবছর ঐতিহ্যবাহী পুরসভার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আমরা বিশিষ্ট নাগরিকদের সংবর্ধনা দেব।
সার্ধ শতবর্ষ উৎসব কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা তথা তৃণমূলের কাউন্সিলার শিবাঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, পুরসভার সার্ধ শতবর্ষ উদ্যাপনের শুরুতে কার্নিভালে মানুষের ব্যাপক সাড়া মিলেছিল। এবছর সমাপ্তি অনুষ্ঠান আরও ভালো হবে। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে মুম্বই ও কলকাতার আর্টিস্টরা আসবেন। তাঁরা চার দিন ধরে শহরের দুটি স্টেজে অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এজন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি আমাদের শুরু হয়ে গিয়েছে। কোথায় কিভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হবে, সে বিষয়টি নিয়ে আমাদের ব্যস্ততা রয়েছে।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদহ পুরসভা ১৮৭৯ সালে ৩.২৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গঠিত হয়েছিল। বর্তমানে পুরসভার মোট ৯.৫৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে। পুরাতন মালদহ শহরটি মহানন্দা নদী এবং কালিন্দী নদীর সংযোগস্থলের পূর্ব দিকে অবস্থিত। এই এলাকা আঠারো শতকে রেশম তুলো এবং সিল্কের জন্য বিখ্যাত ছিল। একদা এই বাণিজ্য নগরীকে কেন্দ্র করেই মালদহের অর্থনীতির প্রসার ঘটেছিল। ২০১১ সালের আদমসুমারি অনুযায়ী, পুর এলাকার জনসংখ্যা প্রায় ৮৪ হাজার। যা বর্তমানে বেড়ে এক লক্ষের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে বলে অনুমান প্রশাসনের। ২০১৪ সালের আগে পুরসভা গঠিত ছিল ১৮টি ওয়ার্ড নিয়ে। বর্তমানে ২০টি ওয়ার্ড রয়েছে। এই ঐতিহ্যবাহী পুরসভা ২০১৯ সালে দেড়শো বছর পা দেয়। এজন্য পুরসভা চলতি বছরের দুই জানুয়ারি থেকে পাঁচ জানুয়ারি পর্যন্ত নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সার্ধ শতবর্ষ উৎসব পালন করেছিল। শহরবাসী উৎসবের মেজাজে সেই অনুষ্ঠানে শামিল হন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, দেড়শ বছর পূর্তির সমাপ্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে চন্দননগরের আলোকসজ্জা দিয়ে শহরকে সাজিয়ে তোলার ভাবনা রয়েছে। শহরের মঙ্গলবাড়ি, চৌরঙ্গী মোড় থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত এলাকা আলোর মালায় সাজিয়ে দেওয়া হবে। এছাড়াও শহরের বুলবুলিতে পুরসভা অফিস সংলগ্ন এলাকা চন্দননগরের বাহারি আলোয় মুড়ে ফেলা হবে। চৌরঙ্গী মোড় এবং পুরসভা অফিস সংলগ্ন এলাকায় পৃথক দু’টি মঞ্চ বানানো হবে। সেই মঞ্চে বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত গান-বাজনা হবে। শিল্পীরা সঙ্গীতের আসর জমাবেন। এছাড়া উৎসব প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্টল বসানো হবে সেখানে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি বিভিন্ন খাবার মিলবে। গতবারের মতো এবারও বর্ধমানের মিহিদানা থেকে ল্যাংচা, পিঠে পুলি সহ নানা মুখরোচক খাবারের সম্ভার থাকবে অনুষ্ঠান চত্বরে।