কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, বিষয়টি শুনেছি। স্থানীয় বাসিন্দারা আমার কাছে এসেছিলেন। পাইপলাইনে জল সরবরাহের বিষয়টি পিএইচই দেখছে। তাই স্থানীয় বাসিন্দাদের আমি পিএইচই দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছি।
পিএইচই দপ্তরের ইসলামপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ওই এলাকায় ৭০-৮০ মিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের ওপরে নর্দমা আছে। যে এলাকায় নর্দমা রয়েছে সেই এলাকার পাইপলাইনে লিকেজ হয়েছে বলেই এই সমস্যা হয়েছে। ফাটলের স্থান আমরা চিহ্নিত করেছি। মঙ্গলবার তা মেরামত করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা অনিতা ভাওয়াল বলেন, প্রতিদিনের মতোই এদিনও ট্যাপের জল বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে দেখতে পাই, আমরা হাতে একটি জোঁক আটকে আছে। কিছুতেই ছাড়াতে পারছিলাম না। ট্যাপের জল থেকেই পোকা বেরোচ্ছে। সেখান থেকেই ওই জোঁক আমার হাতে লেগেছিল। এছাড়াও অনেক সুতোর মতো পোকাও পিএইচই’র জলের লাইন দিয়ে বের হয়েছে। এখন আমরা ওই জলকে পানীয় হিসেবে ব্যবহার করছি না, টিউবয়েলের জল খাচ্ছি।
আরও এক বাসিন্দা রীনা দাস বলেন, এদিন সকালে জল নিতে গিয়ে দেখি, তাতে প্রচুর সংখ্যক সুতোর মতো লম্বা পোকা রয়েছে। তারপর থেকে ওই জল আর খাচ্ছি না। টিউবওয়েলের জলও ভাল না। এখন পরিশ্রুত পানীয় জল কোথায় পাব তা নিয়ে আমরা সমস্যায় পড়েছি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় প্রায় ৪০০টি পরিবারের বসবাস রয়েছে। এলাকায় পিএইচই’র কয়েকটি ট্যাপ কল রয়েছে। বাড়ি বাড়ি পাইপলাইনের সংযোগ আছে। অনেক বাড়িতেই পাইপলাইনের জলে পোকা লক্ষ্য করা গিয়েছে। পোকার হাত থেকে বাঁচতে কেউ কেউ ট্যাপের মুখে কাপড় বেঁধে জল নিচ্ছেন। এদিন স্থানীয়রা বোতলে সংগ্রহ করা পোকা নিয়ে পুরসভায় হাজির হন। পুর কর্তৃপক্ষকে তা দেখানো হয়। পরে তাঁরা পিএইচই দপ্তরে গিয়ে পোকা সমেত বোতল জমা দেন।
দীর্ঘ দিন থেকে ওই এলাকার মানুষ পানীয় জলের জন্য পিএইচই’র জলের ওপরে নির্ভরশীল। অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রে কেউ কেউ টিউবওয়েলের জল ব্যবহার করেন। সাধারণত সেই জল কেউ পান করেন না। কিন্তু এখন আর পিএইচই’র জলের উপর ভরসা না করে অনেকেই বাধ্য হয়ে সেসব টিউবওয়েলের জলই পান করছেন। আর্থিক সংগতি থাকা পরিবারগুলি জল কিনে পান করছে।
এ ঘটনার খবর চাউর হতেই শহরের অন্যান্য ওয়ার্ডগুলির বাসিন্দাদের মধ্যেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জল দূষণের ফলে অনেক ধরনের অসুখ হতে পারে। দূষিত জল পান করলে আমাশা, কলেরার মতো রোগও হতে পারে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিশ্রুত পানীয় জলের পরিষেবা নিয়ে পুরসভা ও পিএইচই দপ্তর উদাসীন। পাইপলাইন রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি নজরদারি নেই। দীর্ঘদিন থেকেই ওই পাইপ বসানো আছে। কিন্তু সেগুলির সংস্কার করা হয় না।