কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
নাট্যমন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক উৎপল দাস বলেন, আমাদের অনেকে কলকাতাতে নাট্যমেলায় অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিলেন। সবে আমরা ফিরেছি। এত কম সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
নাট্যমন্দিরের প্রাক্তন সভাপতি অজিত মহন্ত বলেন, নাট্যমন্দিরের নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। তাঁরা কেন নাট্যমন্দিরের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করছেন না, তা বলতে পারব না। আমি ব্যাক্তিগতভাবে মনে করি ১১২ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী এই সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করলে বোধহয় ভালো হত। কারণ ১১২ বছর ধরে নাট্যচর্চা এই বাংলায় আর কোথাও হয় বলে আমার জানা নেই। সেই সংস্থার প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হচ্ছে না, তা দুর্ভাগ্যজনক।
জানা গিয়েছে,ভারত তথা বাংলা তখন স্বাধীনতার আন্দোলনে ফুটছে। পাশাপাশি বাংলাজুড়ে শুরু হয়েছে এক অন্য বিপ্লব, তা হল নাট্যবিপ্লব। ইংরেজ সাহেবদের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালিরও মন মজেছে নাট্যমঞ্চে। অবিভক্ত দিনাজপুর তথা বালুরঘাটও এই ছোঁয়া মুক্ত হতে পারেনি। সালটা ছিল ১৯০৯ খ্রীস্টাব্দ বালুরঘাটের নাট্যপ্রেমীদের জন্য বালুরঘাটে প্রতিষ্ঠা করা হল বালুরঘাট থিয়েটিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের। যদিও ১৯১১ সালে তা পরিবর্তিত করে নাম রাখা হয় দি এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল ড্রামাটিক্যাল ক্লাব। এর পর দেশ স্বাধীন হবার পর এই প্রতিষ্ঠানের নাম হয় নাট্যমন্দির। তার পর আত্রেয়ী নদী দিয়ে অনেক জল প্রবাহিত হয়েছে। নাট্যমন্দির তবু বালুরঘাটে রয়ে গেছে নাটকের মন্দির হয়েই। অনেক বিখ্যাত বিখ্যাত নাটক এখানে পরিবেশিত হয়েছে। বাংলা একাঙ্ক নাটকের জনক মন্মথ রায় এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শোনা যায়, এই নাট্যমন্দির সংস্কারের সময় মন্মথ রায় নিজে হাতে ইট ঢালাই করে এনেছিলেন। মন্মথ রায়ের সেই ঐতিহ্য এখনও বহন করে চলেছে বর্তমান নাট্যমন্দির কর্তৃপক্ষ। তারা আজও নিয়মিত বালুরঘাটের নাট্যপ্রেমীদের যেমন নতুন নতুন নাটক উপহার দিয়ে চলেছে, ঠিক তেমনি বালুরঘাটের অন্যান্য নাট্য সংস্থাকে খুব কম খরচে নাট্য মঞ্চের ব্যবস্থাও করে দেয় এই সংস্থা। তাই আজও এই টিভি-ইন্টারনেটের যুগে বালুরঘাটের নাট্য সংস্থাগুলি নতুন নতুন নাটক উপহার দিয়ে চলেছে বালুরঘাট তথা বাংলার নাট্য জগৎকে।