বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ... বিশদ
আয়কর দপ্তরের বিগত কয়েক বছরের হিসেব বলছে, কর্পোরেট ট্যাক্সকে সমানে সমানে টক্কর দিচ্ছে সাধারণ মানুষের দেওয়া ব্যক্তিগত আয়কর। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ব্যক্তিগত আয়করে ভরেছে রাজস্বের ভাণ্ডার। ব্যক্তিগত করদাতাদের তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে যিনি শীর্ষে আছেন, তিনি কুমারমঙ্গলম বিড়লা। তাঁর মেটানো অগ্রিম করের অঙ্ক প্রায় ৬৬ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তিনি সেরার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। সেই বছর প্রথম স্থানে থাকা নন্দিনী মোদি এবার তালিকায় ঠাঁই পাননি। শীর্ষে থাকাকালীন তিনি অগ্রিম আয়কর দিয়েছিলেন প্রায় ৭০ কোটি টাকা। এবারের সেরা অগ্রিম করদাতার তালিকায় বাঙালি হিসেবে প্রথম নাম রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তিনি আট নম্বরে জায়গা পেয়েছেন। গতবার, অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তাঁর নাম ছিল ৪৫ নম্বরে। সেবার তিনি সাড়ে ১১ কোটি টাকার অগ্রিম কর মিটিয়েছিলেন। এবার তা বেড়ে ১৭ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকায় পৌঁছেছে। তবে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে সেরা করদাতার তালিকায় চার নম্বরে থাকা অরিজিৎ সিং এবার একটু পিছিয়ে গিয়েছেন। তিনি চলে গিয়েছেন ৯ নম্বরে। এবার তাঁর অগ্রিম কর দেওয়ার অঙ্ক ১৭ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। তার আগের বছরের তুলনায় কর প্রদান কমেছে ৮৫ লক্ষ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের তুলনায় তিনি প্রায় সাড়ে তিন গুণ বেশি কর মিটিয়েছিলেন তার পরের বছর। গত অর্থবর্ষে বাংলার সেরা করদাতাদের তালিকায় জায়গা হয়েছে শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েঙ্কারও। তিনি প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা আয়কর মিটিয়েছেন। যদিও ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের তুলনায় তাঁর আয় কিছুটা কমে গিয়েছে।
সেরা আয়করদাতাদের তালিকায় বিগত কয়েক বছর ধরেই থাকছেন তৃণমূল সাংসদ এবং আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত অর্থবর্ষে তিনি অগ্রিম কর মিটিয়েছিলেন প্রায় ২.১ কোটি টাকার। রিটার্ন জমার সময় অবশ্য সেই অঙ্ক আরও বাড়ে। সেবার তিনি সেরার তালিকায় প্রথম ২০০ জনের তালিকায় ছিলেন। এবার তাঁর অগ্রিম কর জমার অঙ্ক ২ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। এবার তালিকার সেরা দেড়শোয় জায়গা করে নিয়েছেন।
সেরাদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বেশ কিছু আইনজীবীও। আছেন বাঙালি ফ্যাশন ডিজাইনার, চিত্রশিল্পী। তবে রুপোলি জগতের কারও নাম এই তালিকায় নেই। প্রায় সাড়ে ছ’কোটি টাকা আয়কর মিটিয়েছেন এক বাঙালি জ্যোতিষীও। যদিও তিনি স্বেচ্ছায় সেই কর দেননি। আয়কর হানার পর যে বিপুল কর ফাঁকি সামনে এনেছে, সেই বাবদ মোটা অঙ্কের আয়কর মেটাতে হয়েছে ওই নামজাদা জ্যোতিষীকে। বিগত কয়েক বছর ধরেই তাঁকে মোটা টাকা কর মেটাতে হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে তিনি প্রায় সাড়ে সাত কোটি টাকা আয়কর মিটিয়েছিলেন।