বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ... বিশদ
আজ, শনিবার চেতনার কাকা শুভ্রম ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, “চেতনার মা শোকে আচ্ছন্ন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত আধিকারিকরা আমাদের কোনও প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন না।” তাঁর আরও অভিযোগ, কোনও প্রশ্ন করলেই তাঁকে বলা হচ্ছে ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর যথা সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন। তবে ঘটনার ছ’দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেননি বলেই অভিযোগ শুভ্রমের।
অন্যদিকে, উদ্ধারকারী দলের বক্তব্য, “যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে।” জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশপাশি উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিকরাও। গত মঙ্গলবার প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শিশুটিকে হুক কৌশল পদ্ধতিতে বার করে আনার চেষ্টা করেন উদ্ধারকারীরা। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। এরপর লোহার পাইলিং যন্ত্রের মাধ্যমে চেতনাকে উদ্ধার করার প্রচেষ্টা শুরু হয়। পাইলিং যন্ত্রের মাধ্যমে প্রথম ধাপে ১৬০ ফুট গভীর একটি গর্ত খনন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। আজ, শনিবার সকালে প্রথম ধাপের কাজ শেষ হয়েছে। তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, এরপরেও আড়াআড়ি ভাবে আরও আট ফুট গভীর একটি গর্ত খনন করতে হবে। তবেই শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কিন্তু সময় যতই এগোচ্ছে, আশঙ্কার মেঘ ততই ঘনীভূত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশেই একটি জমিতে খেলতে খেলতে আচমকা ওই কুয়োতে পড়ে যায় রাজস্থানের কোটপুতলি-বেহরুরের বছর তিনেকের চেতনা। । কুয়োর মুখটি খোলা থাকার কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে শিশুটির বাবা-মা বুঝতে পারেননি বিষয়টি। পরে কুয়োর ভিতর থেকে চেতনার কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু কুয়োটি বেশ গভীর হওয়ায় ব্যর্থ হন তাঁরা। কুয়োটির গভীরতা প্রায় ৭০০ ফুট। তবে ১৫০ ফুট গভীরের কোনও জায়গাতেই শিশুটি আটকে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপরই থানায় ও দমকলে খবর দেওয়া হয়। পুলিস আধিকারিক ও দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তবে তাঁরাও শিশুটিকে উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। অবশেষে উদ্ধারকাজে নামে রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই রাজস্থানের দৌসায় একটি ১৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় আরিয়ান নামক এক শিশুর।