দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেও সংসদে দাঁড়িয়ে সারা দেশে এনআরসি কার্যকর করার কথা ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তা নিয়ে সংসদে ভিতরে ও বাইরে তুমুল বিরোধিতার মুখে পড়তে হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিরোধীদের তোপে পড়ে বিজেপিও। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গে তিনটি বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রত্যেকটিতেই শোচনীয়ভাবে হেরে গিয়েছে বিজেপি। এর জন্য এনআরসি নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের অবস্থানকেই দায়ী করেছিলেন বিজেপির বেশ কিছু রাজ্য নেতা। বিরোধ সত্ত্বেও, গেরুয়া শিবির যে এই ইস্যুতে কোনওভাবেই পিছু হটতে নারাজ, অমিত শাহের আজকের কথাতেই তা পরিষ্কার।
সোমবার, ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে এসেছিলেন অমিত শাহ। ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন না মাওবাদ, কোন পথে হাঁটবে ঝাড়খণ্ড, তা আপনাদের ভোটই ঠিক করে দেবে।’ এদিন প্রচারে সার্জিকাল স্ট্রাইক ও বালাকোটে বায়ুসেনার প্রত্যাঘাতের কথাও উল্লেখ করেন অমিত শাহ। তাঁর কথায়, যেসব জওয়ান দেশের সীমান্তকে রক্ষা করছেন, তাঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ ঝাড়খণ্ডের। এই রাজ্যের মানুষ চান, সন্ত্রাসবাদ ও মাওবাদ একেবারে শেষ হয়ে যাক। একইসঙ্গে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির দাবি, বালাকোটে বায়ুসেনার প্রত্যাঘাত ও সার্জিকাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে জঙ্গিদের কড়া জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে সন্ত্রাসবাদ, মাওবাদী সমস্যা, রামমন্দির ইস্যুকে হাতিয়ার করছে বিজেপি। সোমবার, সেকথা সোজাসাপ্টা ভাষায় জানিয়ে দেন অমিত শাহ। তাঁর মতে, স্থানীয়দের কাছে উন্নয়নের মতোই সন্ত্রাসবাদ, মাওবাদকে নির্মূল করা ও রামমন্দিরের মতো বিষয়গুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিন, রামজন্মভূমি-বাবরি মসজিদ মামলার রায় উল্লেখ করে কংগ্রেসকেও নিশানা করেছেন বিজেপির এই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, সোনিয়া গান্ধীর দল এই মামলায় শুনানি বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু, মানুষের সমর্থন নিয়ে মামলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মোদি সরকার। শেষে, সর্বোচ্চ আদালত রামমন্দির তৈরির পক্ষেই রায় দিয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ঠেকাতে জোট গড়েছে জেএমএম, কংগ্রেস ও আরজেডি। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে তিন দলকেই একযোগে আক্রমণ করেছেন অমিত শাহ। বলেছেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার সময় ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছিল। এখন মুখ্যমন্ত্রিত্বের লোভে সেই কংগ্রেসের কোলেই বসে আছেন জেএমএম নেতা হেমন্ত সোরেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাসের নেতৃত্বে রাজ্যে ‘উন্নয়নের গঙ্গা বইছে’ বলে দাবি করেছেন তিনি।