কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
অর্পিতা ঘোষ বলছিলেন, ‘যথা সময়ে আমরা ৭, রেসকোর্সে ওঁর বাসভবনে ঢুকলাম। আমরা অবাক হয়ে গেলাম ওঁর ধৈর্য্য ও বিনয় দেখে। তিনি আমাদের কথা পুরোটা শুনলেন। সব শুনে বললেন, ইটস রিয়েলি স্যাড। বিষয়টি নিয়ে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করলেন। অত্যন্ত মিতভাষী এবং নিরহঙ্কার একজন ভদ্রলোক। সত্যি কথা বলতে কী, ওই বাড়িতে বসে আমাদের কখনও মনে হয়নি যে দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছি আমরা।’ সেদিনের কথা অল্পবিস্তর স্মরণ করতে পারছেন তৎকালীন বুদ্ধিজীবী আন্দোলনের অন্যতম মুখ, অধুনা রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘আমরা নন্দীগ্রাম-নেতাই ও সেই সময় রাজ্যজুড়ে যে পরিস্থিতি চলছে, সে বিষয়ে জানাতে গিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও আমরা দেখা করি রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমের সঙ্গে। মনে আছে, উনি পুরো সময়টা আমাদের কথা শুনেছিলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সবটা বলবেন বলেও জানিয়েছিলেন।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপবাবু আগে দু’বার মনমোহন সিংয়ের সাক্ষাৎ পেলেও কথা বলার সুযোগ পাননি। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রাজ্যের পরিস্থিতির কথা জানাতে তিনিও হাজির ছিলেন। অভিরূপবাবু বলেন, ‘আমরা কয়েকজন সেই সময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানাতে গিয়েছিলাম, পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা কতটা খারাপ। মূলত আমাদের দাবি ছিল, আরও প্রাণহানি ঠেকাতে বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আনা হোক। ওঁর সঙ্গে সাক্ষাতে মনে হয়েছে, আপাদমস্তক ভদ্র, বিনয়ী একজন অ্যকাডেমিসিয়ান। উনি আমাদের কথা পুরোটা শোনার পর আলাদাভাবে ডেকে জানতে চেয়েছিলেন, বরানগরের আইএসআই কেমন চলছে।