কাজকর্ম, বিদ্যাশিক্ষায় দিনটি শুভ। বৃত্তিগত প্রশিক্ষণে সাফল্যের সুবাদে নতুন কর্মপ্রাপ্তির সম্ভাবনা। দেহে আঘাত লাগতে পারে। ... বিশদ
ঘটনার সূত্রপাত অবশ্য মঙ্গলবার বিকেল চারটে বেজে ৩৯ মিনিটে। কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তের মোবাইলের হোয়াটসঅ্যাপে একটি কল আসে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, হোয়াটসঅ্যাপের ডিপিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের ছবি ছিল। ফলে প্রথম দিকে কিছুটা হলেও বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন আনন্দবাবু।
ফোনের অপর প্রান্তে থাকা ব্যক্তি প্রথমে কালনার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চান আনন্দবাবুর কাছে। তারপরই আনন্দবাবুর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। এরজন্য কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানকে জরুরি ভিত্তিতে কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু বড়দিনে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেকের অফিস বন্ধ। তাই দুর্নীতির বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার জন্য ৫ লাখ টাকা নিয়ে এমএলএ হস্টেলে আসতে বলা হয়েছিল।
৫ লাখ টাকা চাওয়ার পর সন্দেহ হয় কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের মনে। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে বিষয়টি জানালে, মঙ্গলবারই স্থানীয় শেক্সপিয়র সরণি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে চেয়ারম্যানের ফোনে আসা হোয়াটসঅ্যাপ কলের সূত্র ধরে শেক্সপিয়র সরণি থানার টিম প্রথমে মূল অভিযুক্ত জুনেদুল হক চৌধুরীকে চিহ্নিত করে। এরপর শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিস রীতিমতো ফাঁদ পেতে বুধবার বিকেলে কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের সামনে মূল অভিযুক্ত জুনেদুল সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-র কোটায় এমএলএ হস্টেলে ঘর বুক করেছিল জুনেদুল। এনিয়ে নিখিলবাবু বলেন, আমি কাউকে চিঠি দিইনি। রুমের চাবি আমার কাছেই আছে। তারপরেও এরকম কিছু হলে বুঝতে হবে, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
সাম্প্রতিক অতীতেও আদতে হুগলির বাসিন্দা এই জুনেদুল তৃণমূলের নাম করে টাকা চেয়ে তোলাবাজি ও প্রতারণা মামলায় কলকাতা পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। এদিকে, ধৃত তিন অভিযুক্তকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে, আদালত ২ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিস হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি দলকে জানিয়েছে। যা করার দলই করছে। আলাদা করে আমার বলার কিছু নেই।’