দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের সুফল আশা করতে পারেন। শেয়ার বা ফাটকায় চিন্তা করে বিনিয়োগ করুন। ব্যবসায় ... বিশদ
সঞ্জীববাবু বলেন, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কোন অঞ্চলে হচ্ছে, এবং কতটা ঘনঘন হচ্ছে— এ রাজ্যে সহ পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে শীত আসা নির্ভর করে এই দুই বিষয়ের উপর। পরপর দু’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের পার্থক্য বেশি হলে সেই ফাঁকে উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়া ঢুকে পড়ার সুযোগ পায়। আবার হিমালয়ের উত্তর অংশে পরপর এই ঝঞ্ঝা চলতে থাকলে আমাদের রাজ্যে এর ততটা প্রভাব পড়ে না। কিন্তু হিমালয়ের দক্ষিণ অংশে চলতে থাকলে তা শীতের পথ রুদ্ধ করে দেয়। এবার দেখা যাচ্ছে, হিমালয়ের দক্ষিণ অংশে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা বারবার শীতল হাওয়ার পথ আটকে দিচ্ছে। তবে এই সময়ে এমন ঘটনা মোটেও অস্বাভাবিক নয়। সোমবার ভোরে কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের তুলনায় এক ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বনিম্ন হার ছিল ৪১ শতাংশ। এর ফলে শীতের শুষ্কতা অনুভূত হয়েছে কম-বেশি। তবে আজ, মঙ্গলবার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যথাক্রমে ২৯ ও ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। বৃষ্টি হয়নি কোথাও। আবহাওয়া দপ্তরের নিয়মনীতি অনুযায়ী, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি বা তার কম টানা চার-পাঁচদিন বজায় থাকলে তবেই শীত এসেছে বলে বলা যাবে। ১৫ ডিসেম্বরের আগে এমন পরিস্থিতি হওয়ার সুযোগ খুব একটা নেই বলে আভাস দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।