নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: কথা দিয়েছিলেন। সেই মতো লোকসভা ভোটে জয়ের পর আগামী সোমবার প্রশাসনিক পরিষেবা প্রদান কর্মসূচিতে সন্দেশখালি আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন সন্দেশখালির অরবিন্দ মিশন মাঠে হবে প্রশাসনিক অনুষ্ঠানটি। তার আগে শুক্রবার মাঠ পরিদর্শন করলেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিস জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান প্রমুখ। এদিন সভাস্থলে বৈঠকও করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টারে আসবেন। তার জন্য সভাস্থলের পাশেই করা হয়েছে হেলিপ্যাড। সেখান থেকে মূল মঞ্চে এসে মানুষের হাতে একগুচ্ছ পরিষেবা তুলে দেবেন তিনি। মূলত মহিলাদের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা তুলে দেবেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে সরকারি জমির পাট্টা—নানা ধরনের পরিষেবা রয়েছে তালিকায়। এই এলাকার বহু মানুষের জীবন মাছ চাষের উপর নির্ভরশীল। তাই কয়েকজন মৎস্যজীবীর হাতে মাছচাষের প্রয়োজনীয় সামগ্রী মুখ্যমন্ত্রী তুলে দেবেন। থাকছে কন্যাশ্রী, রুপশ্রী সবুজসাথী সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা প্রদানের সূচি। এদিন জেলার একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন হবে মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। তবে এখনও পর্যন্ত তার চূড়ান্ত ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি হয়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লোকসভা ভোটের আগে একাধিক ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। নারী নির্যাতনের অভিযোগকে সামনে রেখে বিজেপি লোকসভা ভোটের বৈতরণী পার হতে উঠেপড়ে লেগিছিল। কিন্তু সেসব কাজে দেয়নি। ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, জেতার পর তিনি সন্দেশখালি আসবেন। মানুষের কথা শুনবেন। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে পেতে সন্দেশখালির সাধারণ মানুষ মুখিয়ে রয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা বাড়ি তৈরির টাকার জন্য দরবার করব। কারণ, অনেক গরিব মানুষ বাড়ি তৈরির টাকা পাননি।’ গ্রামবাসীদের সংযোজন, ‘আগের তুলনায় সন্দেশখালি এখন শান্ত। তাই আমাদের কথা মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়ে শুনুন, এটাই আর্জি।’ মন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আসছেন সরকারি কর্মসূচিতে। আমরা সার্বিক দিক খতিয়ে দেখলাম। মানূষ খুবই উৎসুক। তাঁর আসাকে কেন্দ্র করে সাজ সাজ রব এলাকায়।’