বিষয় সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে শরিকি বিবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে। কর্মে উন্নতি হবে। অপব্যয়ের ... বিশদ
গাইঘাটার বেড়ি গোপালপুরের বাসিন্দা শাহজাহান মণ্ডলের। তিনি পেশায় শিক্ষক। তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু প্রভাস বিশ্বাস। বনগাঁ থানার মণ্ডলপাড়ায় থাকেন প্রভাস। এই দু’জনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। প্রভাস তেমন কোনও কাজ করেন না। অনটন রয়েছে। তবে সেই অনটন দু’জনের বন্ধুত্বকে টলাতে পারেনি। বৃহস্পতিবার বার্ধক্যজনিত কারণে প্রভাসের মা পাতালতা বিশ্বাস মারা যান। বন্ধুর মাতৃবিয়োগের খবর পৌঁছয় শাহাজাহানের কাছে। সমবেদনা জানাতে বন্ধুর বাড়ি যান। বন্ধুকে চিন্তিত দেখে বুঝতে পারেন আর্থিক দুরাবস্থার বিষয়টি। তারপর অভয় দেন, ‘শেষকৃত্যের আয়োজন কর। চিন্তা নেই। আমি আছি।’ বন্ধুর পাশে থাকার বার্তা পেয়ে চিন্তামুক্ত হন প্রভাস। গাড়ি ডাকা হয়। মৃতদেহ গাড়িতে তুলে যায় গাইঘাটা শ্মশানে। দাহকাজ হয়।
গাড়ি ভাড়া, দাহ করার খরচ বহন করেন শাহজাহান। তিনি বলেন, ‘আমরা দু’জনে বন্ধু। বয়সে কিছুটা বড়
হওয়ায় উনি আমার দাদার মত। দুঃখের দিনে দাদার
পাশে দাঁড়ানো ভাইয়ের কর্তব্য। সেটাই করেছি।’ প্রভাস বিশ্বাসের কথায়, ‘ওর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। রক্তের সম্পর্ক না থাকলেও ও যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে তা সত্যিই নজিরবিহীন।’