দক্ষিণবঙ্গ

দ্বন্দ্ব ছেড়ে সর্বস্তরের কর্মীকে নামার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল। মেদিনীপুর বিধানসভা পুনরায় দখল করতে প্রতি পঞ্চায়েত ও পুরসভায় ওয়ার্ড ভিত্তিক বিশেষ অবজার্ভার রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে দলের সমস্তস্তরের কর্মীকে ঝিমিয়ে না থেকে, ভোট ময়দানে নামার নির্দেশ দিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। কোনওরকম দ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানানো হয়েছে। সবাইকে এখন এক হয়ে দলের প্রার্থী যিনি হবেন, তাঁকে জয়ী করতে হবে। পুরসভা ও গ্রামীণ এলাকায় দেওয়াল লিখনের কাজও শুরু করতে বলা হয়েছে। লক্ষ্য একটাই ছাব্বিশের বিধানসভা ভোটের আগে উপনির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে নিজেদের মনোবল বাড়িয়ে নেওয়া।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, ভোটের জন্য আমাদের কর্মী সমর্থকরা ১০০ শতাংশ প্রস্তুত। চোখে চোখ রেখে ভোটের ময়দানে লড়াই হবে। প্রতিটি পঞ্চায়েত ও পুরসভায় ওয়ার্ডভিত্তিক অবজার্ভার রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সমস্তস্তরের কর্মীকে ভোট যুদ্ধে শামিল হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া বিজেপির মুখ ও মুখোশ মানুষ বুঝতে পেরেছে। তাই মানুষ আর গেরুয়া বাহিনীর সঙ্গে নেই। 
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের পর থেকে মেদিনীপুর বিধানসভায় জয়লাভ করে আসছে তৃণমূল। ২০২১-এর নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রতীকে জয়লাভ করেন জুন মালিয়া। গত লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভ করার পর তিনি সাংসদ হন। তাই এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হচ্ছে। রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনের সঙ্গে ১৩ নভেম্বর এই কেন্দ্রে ভোট হবে। নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই ভোট ময়দানে নেমে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। নিজেদের গড়ে ফের ঘাসফুল ফোটাতে তারা মরিয়া। একের পর এক নির্বাচনে হেরে এমনিতেই অনেকটা ব্যাকফুটে বিরোধী শিবির। এই আসন পুনর্দখল করে বিরোধী শিবিরকে কার্যত দুরমুশ করে দিতে চাইছে শাসকদল। 
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেদিনীপুর বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের তরফে বিজয়া সম্মেলনী করা হবে। 
সেই সম্মেলনীর মাধ্যমে প্রচার করা হবে। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মানুষের সামনে তুলে ধরার পরিকল্পনা করা হয়েছে। অর্থাৎ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী সহ বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের সাফল্যের দিক মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে। এক তৃণমূল নেতা বলেন, কালীপুজো ও ভাইফোঁটার সময়েও প্রচার চালানো হবে। প্রতিটা বুথ ধরে ভোটের মার্জিন বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। 
তবে তৃণমূলকে ভাবাচ্ছে দলের গোষ্ঠী কোন্দল। অনেক বড়, মেজো, সেজো গোষ্ঠী রয়েছে। তারা যাতে সকলেই নির্বাচনের সময় এক হয়ে কাজ করেন, তার জন্য শুরুতেই বার্তা দেওয়া হয়েছে।  প্রার্থীকে জেতানোর বদলে নিজেদের সুবিধা দেখলে, তাদের যে রেয়াত করা হবে না, তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের এক নেতা বলেন, দলের স্বার্থে সকলকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের নির্দেশ দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব।
শাসক শিবির ঘর গোছাতে শুরু করলেও তাপ উত্তাপ নেই বিরোধী শিবিরে। তাদের কার্যত ছন্নছাড়া অবস্থা। যদিও জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, তৃণমূলের দুর্নীতির কথা সকলেই জানে। কোথাও মেয়েদের নিরাপত্তা নেই। তাই এবার মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকার মানুষ বিজেপিকেই ভোট দেবে।  তৃণমূলের প্রাক্তন তারকা বিধায়ক জুন মালিয়া বহু এলাকায় কোনও কাজ করেননি। তার প্রভাব ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হবে।  শালিকা গ্রামে ভোটের প্রস্তুতি সভা তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র
3h 3m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বাধায় চিন্তা ও উদ্বেগ। বেকারদের ভালো প্রতিষ্ঠানে কর্মপ্রাপ্তির প্রবল যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৩ টাকা৮৪.৯৭ টাকা
পাউন্ড১০৮.০৬ টাকা১১১.৮৬ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৩২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
17th     October,   2024
দিন পঞ্জিকা