দক্ষিণবঙ্গ

মোদি সরকারের ধার্য্য করা পাটের দাম দেখে হতাশ মুর্শিদাবাদের পাটচাষিরা

নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: চলতি বছরে জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়ার ধার্য্য করা পাটের দাম দেখে হতাশ চাষিরা। তৃতীয় বার সরকার গঠন করে চাষিদের দুরাবস্থার কথা ভাবা হবে, এমনই আশা করেছিল গোটা দেশের চাষিরা। কিন্তু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি আর কাজের মধ্যে ফারাক বুঝতে পারছে চাষিরা। পাটের সহায়ক মূল্য ধার্য্য হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বেশি পাট উৎপাদনকারী জেলায় চাষিদের গলায় হতাশার সুর। মুর্শিদাবাদ জেলায় সবথেকে বেশি টিডি থ্রি ও টিডি ফোর পাট উৎপন্ন হয়। সেখানে এই দুই ধরনের পাটের দাম ধার্য্য করা হয়েছে কুইন্টাল পিছু ৫৩৩৫ টাকা ও ৪৭৮৫ টাকা। টিডি ফাইভ মানের পাটের সহায়ক মূল্য ধার্য্য হয়েছে ৪৫৩৫ টাকা। এক কুইন্টাল পাটের উৎপাদন খরচ এখন প্রায় আট থেকে নয় হাজার টাকা। উৎপাদন খরচের থেকে তিন থেকে চার হাজার টাকা কম দামে পাট কিনবে কেন্দ্রের জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া। দিনের পর দিন তাদের ভবিষ্যতকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন চাষিরা। বাধ্য হয়ে ফড়েদের দ্বারস্থ হয়ে পাটের তন্তু বিক্রি করতে হয় চাষিদের।
পাট চাষিরা দ্বৈত সমস্যার সম্মুখীন। একদিকে বৃষ্টির অভাবে পাটের ফলন ভালো না। মুর্শিদাবাদ জেলায় গত এক মাসে ৪০ শতাংশের বেশি বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। লাগাতার জলের অভাবে পাটের মান কেমন হবে তা নিয়ে দ্বিধায় আছেন চাষিরা। তার উপরে কেন্দ্রের ধার্য এই দাম ঘুম কেড়েছে চাষিদের। জেলার কৃষিদপ্তরের কর্তারা জানাচ্ছেন, বৃষ্টি একেবারেই নেই। এদিকে ১১০-১২০ দিনের মধ্যে পাট কাটতে হয়। তারপরে পাটের বয়স বাড়লে তন্তুর গুণগতমান খারাপ হয়। গতবারের মতো এবারও পাট পচানোর জলের অভাব হলে, সত্যি সমস্যা বাড়বে। জেলায় অধিকাংশ চাষি পাটের গ্রেড সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয়। তারা চেষ্টা করেন সর্বোৎকৃষ্ট মানের পাট উৎপাদন করতে। কিন্তু অধিকাংশ চাষি টিডি থ্রি এবং টিডি ফোর পাটের উৎপাদন করেন। কেন্দ্র যে সহায়ক মূল্য বেঁধে দিয়েছে, তাতে বিক্রি করলে চাষিদের লাভ হবে না। কারণ চাষের খরচ অনেক বেড়েছে। এর ফলে পাট চাষে উৎসাহ হারাচ্ছেন অনেকেই। 
হরিহরপাড়ার পাট চাষি নিত্যানন্দ হাজরা বলেন, এই বছর পাটের সহায়ক মূল্য অনেকটাই বাড়বে। কিন্তু জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া আমাদের কথা ভাবল না। চাষের খরচ যা বেড়েছে তাতে পাট উৎপাদন করে লাভ নেই। এভাবে যেন ঘরের টাকা সরকারের হাতে তুলে দিতে হচ্ছে। 
নওদার পাট চাষি তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর চাষের খরচ যেভাবে বাড়ছে তাতে পাট চাষ করে কোনও লাভ হচ্ছে না। পরের বার থেকে পাট বোনার আগে আমাদের ভাবতে হবে। কেন্দ্র সরকারের উপর ভরসা করলে হবে না।
বহরমপুর ব্লকের চাষি রতন মণ্ডল বলেন, যারা ভালো জলে পাট পচাতে পারে তাদের তন্তুর গুণগত মান ভালো হয়। তারা এখন কুইন্টাল পিছু ৫৫০০ থেকে ৬০০০ টাকা দাম পায় খোলা বাজারে। সেখানে জেসিআই পাটের দাম খুব কম রেখেছে। এক কুইন্টাল ভালো পাট ৫০০০ টাকায় বিক্রি করেও লাভ হয় না আমাদের। তাই জেসিআইকে পাট না দিয়ে আমার চেষ্টা করি বাইরের খোলা বাজারে পাট দিতে।  ফাইল চিত্র
5d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২২ টাকা১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো৮৭.৮৯ টাকা৯১.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা