দক্ষিণবঙ্গ

বৃষ্টির অভাবে বীজতলা মাত্র ২ শতাংশ জমিতে, মাথায় হাত জেলার চাষিদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: জুন মাসে যে পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল তার থেকে ২০০ মিলিমিটার কম হয়েছে। ফলে, ধান চাষে প্রয়োজনীয় বীজতলা তৈরি করতে পারেননি জেলার কৃষকরা। জেলা কৃষিদপ্তরের তথ্য বলছে, মাত্র ২ শতাংশ বীজতলা হয়েছে। স্বভাবতই, কীভাবে ধান চাষ হবে, তা ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছেন না জেলার চাষিরা। এই নিয়ে পরপর তিন বছর বর্ষাকালে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে থাকল। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন কৃষি বিভাগের আধিকারিকরাও। পরিস্থিতির মোকাবিলায় আধিকারিকদের পরামর্শ, ধান চাষের জন্য এখন সুপার সিডার যন্ত্রই উপযুক্ত। এতে চাষের কাজে জল কম লাগে। 
জেলা কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধারভাবে জুন মাসে গড়ে ২৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন। এ বছর জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ শেষে গড়ে মাত্র সাড়ে ৩৩ শতাংশ বৃষ্টি হয়েছে। বীরভূমে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই চাষিরা ধানের বীজতলা তৈরি করতে শুরু করেন। আগে জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বর্ষা ঢুকে যাওয়ার ফলে জলের ঘাটতি তেমন দেখা দিত না। কিন্তু এবার বৃষ্টি একেবারেই কম হয়েছে। ফলে, আমন ধানের চাষ পিছিয়ে যাবে। সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন কৃষি আধিকারিকরা। 
এমনিতেই বীজতলা তৈরি থেকে বীজ পোঁতা পর্যন্ত ২১ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। এবার জেলায় ২ লক্ষ ৮৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর ৩০ শতাংশ জমি বীজতলা হওয়ার কথা। কিন্তু শুক্রবার পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী বীজতলা হয়েছে মাত্র ৬৪০ হেক্টর জমিতে। অর্থাৎ মাত্র ২ শতাংশ। জুন মাসের শেষ সপ্তাহেও বৃষ্টি না হয় তাহলে ধান রোপন করতে জুলাই মাস পেরিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ফলন অনেক কমে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আধিকারিকদের আশঙ্কা, গত দু’বছরের মতো এবারও বৃষ্টির ঘাটতিতে অনেক জমিই ফাঁকা থাকবে! ভারী বর্ষা না হলে অনেক চাষিই ধান লাগাতে পারবেন না। সেই কারণে তাঁদের পরামর্শ, জল দিয়ে কাদা জমি করে ধান লাগানোর বিকল্প হিসাবে সুপার সিডার যন্ত্রে চাষ করতে হবে। এই যন্ত্রে ধান লাগালে নির্দিষ্ট দূরত্বে ধানের বীজ পড়বে। জৈব সারও তার সঙ্গে নির্দিষ্ট জায়গাতে পড়বে। আর জলের প্রয়োজনই হবে না। জমি তৈরিতে প্রচুর জলও লাগবে না। লোকবলও লাগবে কম। এখনই অবশ্য জেলায় সুপার সিডার মেশিনে অনেক চাষিই ধান লাগাচ্ছেন। বোলপুরে অনেক জমিতেই এই যন্ত্র দেখা যাচ্ছে।
জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) শিবনাথ ঘোষ বলেন, ‘গত ২০২২ সালের জুন মাসে গড়ে ৮৯ মিমি, ২০২৩ সালে গড়ে ২১৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছিল। সাধারণত এই মাসে গড়ে ২৩৫ মিমি বৃষ্টি হয়। এই বছর তো একেবারেই কম হয়েছে। ভারী বর্ষা না হলে এই বছরও জলের ঘাটতি দেখা দেবে। কৃষিপ্রধান জেলা বীরভূমের চাষিদের তাই বিকল্প ভাবনা ভাবতে হবে। উঁচু জায়গাগুলিতে বাদাম, অহরহ, ভুট্টা লাগাতে হবে। আমরা ইতিমধ্যেই বিনামূল্যে এইসব বীজ দিচ্ছি। আর কম জলে বীজ লাগাতে সুপার সিডার যন্ত্রকে কাজে লাগাতে হবে। চাষিরা এই যন্ত্র কিনলে রাজ্য সরকার মোটা টাকার ভর্তুকি দেয়। যেভাবে বৃষ্টির ঘাটতি হচ্ছে তাতে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতেই হবে। আগামী ২৭ জুন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, ব্লক কৃষি আধিকারিক ও অন্যান্য ব্লকস্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসব। ধান চাষ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। চাষিদেরও কীভাবে পরামর্শ দেওয়া যায়, তা নিয়েও আলোচনা হবে। 
5d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড১০৪.২২ টাকা১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো৮৭.৮৯ টাকা৯১.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা