ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তেহট্ট ও নাকাশিপাড়া বিধানসভায় মতুয়া ভোট আছে। এই ভোট মূলত বিজেপির দিকে যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের চালু করা সিএএ মতুয়াদের মনরক্ষা করতে ব্যর্থ। কারণ, তাতে মতুয়াদের দাবি মতো নিশর্ত নাগরিকত্বের কথা নেই। তাঁদের দাবি, এখনও পর্যন্ত কোনও মতুয়া নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেননি। মতুয়াদের এই ক্ষোভের কারণে সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছে সব রাজনৈতিক দল। এদিন মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রায় সাড়ে পাঁচশো মানুষকে নিয়ে সঞ্জিতবাবু মনোনয়ন পত্র পেশ করেন। মতুয়াদের সমস্ত ভোট যদি মতুয়া সমাজের প্রার্থীর কাছে যায় তবে তৃণমূলের লাভ বলে রাজনৈতিক মহলের অনুমান। যদিও বিজেপির দাবি, মতুয়াদের ভোট তাঁদের পক্ষেই থাকবে। সব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে জুনের চার তারিখ ভোট গণনার দিন।
সঞ্জিতবাবু বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের মতুয়া সমাজকে নিয়ে রাজনীতি করছে। আমাদের দাবি ছিল নিঃশর্ত নাগরিকত্ব। সেটা না করে বেশ কিছু শর্ত চাপিয়ে দিয়েছে। এই কারণে এখনও পর্যন্ত কোনও মতুয়া নাগরিকত্বের আবেদন করেননি। আমাদের দাবি, মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হোক। এমনকী শান্তনু ঠাকুর নিজেও এই বিষয়টি ঠিক করে পড়েননি বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমার মনোনয়ন জমা দিতে মতুয়াদের নিশান ডঙ্কা নিয়ে গোঁসাই পাগলরা হাজির ছিল। মতুয়া সমাজ নিজেদের স্বার্থে নিজেদের বাঁচার তাগিদে নাগরিকত্বের দাবিতে আমাকে ভোট দেবে। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও একটি রাজনৈতিক দলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ভোটে দাঁড়ানোর অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, যাঁরা এটা বলছেন, তাঁরা মতুয়াদের ভালো দেখতে পারছেন না। তাঁর দাবি, আমি সব রাজনৈতিক দলের সমর্থকদের ভোট পাব। ফলে কাউকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্য লড়াই করছি না।
মতুয়া মহাসঙ্ঘের রাজ্য কমিটির সদস্য অনিমেষ বালা বলেন, উনি কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে টাকা নিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। আমাদের সঙ্গে এই বিষয়ে ওঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
তৃণমূলের বিধায়ক তাপস সাহা বলেন, মতুয়াদের জন্য আমাদের সরকার যা করেছে তাতে মতুয়া সমাজ আমাদের পাশে ছিল, আছে, থাকবে। বিজেপির উত্তরের জেলা সাংগঠনিক সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, যে কেউ ভোটে দাঁড়াতে পারেন। তাতে কিছু বলার নেই। তবে দেখতে হবে উনি তৃণমূলের সুবিধার জন্য ভোটে দাঁড়িয়েছেন কি না। তবে এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। মতুয়াদের দাবি মেনে সিএএ লাগু হয়েছে। তাই মতুয়া ভোট আমাদের সঙ্গেই থাকবে।