স্বাস্থ্য সমস্যায় বিব্রত বোধ ও কর্মে বিঘ্নের আশঙ্কা। জ্ঞাতি বা প্রতিবেশি আপনার নির্মাণ কর্মে বাধা ... বিশদ
শিল্পী শুভ কর্মকার বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার হাতের তৈরি ডোকরার কাজ মিউজিয়ামে রেখে দেবেন বলেছেন। এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে। আমরা খুব খুশি।’
চীন, মিশর, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া এবং মধ্য আমেরিকায় ‘লস্ট ওয়াক্স কাস্টিং’ পদ্ধতিতে শিল্প গড়ে তোলা একটি ঐতিহ্য। দ্বারিয়াপুর গ্রামের ডোকরা শিল্পীরাও সেই ঐতিহ্যের ভাগীদার। কল্পনা, বৈচিত্র এবং কারিগরি তিনটিই একসঙ্গে এসে মিশেছে গ্রামের এই লোকশিল্পে। ‘লস্ট ওয়াক্স কাস্টিং’ পদ্ধতিতে ডোকরার নানা মডেল তৈরি হয়। আউশগ্রাম-১ ব্লকের দিগনগর-২ পঞ্চায়েতের দ্বারিয়াপুর গ্রাম ডোকরা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। দেশ-বিদেশের খ্যাতি অর্জন করেছেন এখানকার শিল্পীরা। গ্রামের বাসিন্দা রামু কর্মকার সহ পাঁচজন শিল্পী তাঁদের কাজের জন্য রাষ্ট্রপতি পুরষ্কারও পেয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর মানুষ দ্বারিয়াপুর গ্রামে আসেন। তাঁদের কাছে কাজ শেখেন। আউশগ্রামের দ্বারিয়াপুর গ্রামের ডোকরা শিল্পীরা আগুনে গলিয়ে মডেল তৈরি করেন। তারপর সেটাই তাঁরা বিদেশ বা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন। রামু কর্মকারের ছেলে শুভ কর্মকার বিদেশের মাটিতে বহুবার তাঁর হাতের শিল্পকর্ম দেখিয়ে এসেছেন। তিনি বলছিলেন, ‘এই দুর্গা মূর্তিটি দিদিকে উপহার দেব বলে মাত্র দশ দিনে তৈরি করেছি।’