বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
স্থানীয় চাষিরা জানান, চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসের মধ্যে জমি তৈরি করে পাট চাষ করা হয়। জমিকে পাট চাষের যোগ্য করে তুলতে প্রথম থেকেই জলের প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে চারা বের হওয়ার পর জমিকে ভিজে রাখতে হয় সব সময়। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় জমি ফেটে যাচ্ছে। জলের অভাবে এই ঘটনা ঘটছে। ফলে পাটের চারার ক্ষতি হচ্ছে।
কৃষিদপ্তর সুত্রে জানা গিয়েছে, এই সময় পাটের চারাকে সতেজ রাখতে সব সময় জমি ভিজে রাখতে হয়। সাধারণত আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে সপ্তাহে একদিন জল দিলেই জমি ভিজে থাকে। এই আবহাওয়ায় একদিন জল দিলে হবে না। সপ্তাহে কম করে দু’দিন জল দিতে হবে। কিন্তু চাষিরা বলেন, দিনের বেলায় জল দিলে এই তাপপ্রবাহে জল সঙ্গে সঙ্গে শুকিয়ে যাচ্ছে ফলে জমিতে জল থাকছে না। বাধ্য হয়ে রাতে সাত থেকে ন’ ঘণ্টা জল দিতে হচ্ছে।
পাট চাষি অমল ঘোষ বলেন, এই তাপপ্রবাহে মাঠে যাওয়া যাচ্ছে না শরীর অসুস্থ হওয়ার ভয়ে। সেই সঙ্গে সকালে জল দিলে সেই জল জমিতে থাকছে না। ফলে রাতে জমিতে জল দিতে হচ্ছে। এইজন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে। টাকা খরচ হলেও শরীর ঠিক রাখার জন্য আমাদের এটা করতে হচ্ছে। একই কথা ওই এলাকার পাট চাষিদের। তাঁরা বলেন, যতদিন এই আবহাওয়া চলবে তত দিন আমাদের এই ভাবে রাতে জমির কাজ করতে হবে।
এই বিষয়ে তেহট্ট-১ ব্লকের সহ কৃষি আধিকারিক আনন্দ মিত্র বলেন, চাষিদের সচেতন করা হচ্ছে। তাঁদের শরীরের দিকে খেয়াল রেখে তাঁরা রাতে কাজ করছেন।