আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
শনিবার হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের প্রচার শেষ হয়েছে। লিলুয়ায় রোড শো’র পর সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিজেপি প্রার্থী। তিনি বলেন, গত বিধানসভা ভোটের সময় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এক রায়ে বলেছিল, চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। অথচ হাওড়ার ডিসিআরসি-তে ৮৫ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইন অমান্য করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের পে-স্কেলে থাকা কর্মীদেরই এই কাজে ব্যবহার করা উচিত। এদিন আবার তাঁদের ট্রেনিং দেওয়া হল। কিসের ট্রেনিং? শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানাতে হবে। তিনি বলেন, হাওড়া পুরসভার যে ৮৫ জন চুক্তিভিত্তিক কর্মীকে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাঁদের দিয়ে ইভিএম বদল করা হতে পারে।
সূত্রের খবর, রথীনবাবু যাঁদের নিয়ে অভিযোগ করেছেন, আদতে তাঁরা পুরসভায় নিয়োগ পেয়েছিলেন তিনি মেয়র থাককালীন। রাজ্যের অর্থদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ হওয়ায় এই কর্মীদের অবস্থা এখন দোদুল্যমান। এ নিয়ে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটির চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, ইভিএম বদলের মানসিকতা আমাদের নেই। ওসব বিজেপিই করে। আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী। মানুষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমুখী কাজের জন্য তৃণমূলকে ভোট দেন। তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ভোটের কাজে ব্যবহার করার বিষয়ে আমি আপত্তি জানিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে প্রশাসন জানায়, তাঁদের ডিসিআরসি-তে কাজে লাগানো হবে। এমন কোনও কাজ দেওয়া হবে না, যাতে গণ্ডগোল তৈরি হয়। কর্মীসংখ্যা অপর্যাপ্ত হওয়ায় এই পদক্ষেপ করতে হয়েছে। যেহেতু তাঁদের বেতন কম, তাই ভোটের কাজ করে তাঁরা কিছু পারিশ্রমিক পাবেন, এই ভেবেই আমি বিষয়টি মেনে নিয়েছি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এক কর্তা বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগের সারবত্তা মিললে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।