বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
স্কুলের টিআইসি সুমনা ঘোষ বলেন, অল্প কয়েকজন শিক্ষিকা দিয়ে ক্লাস নিতে আমাদের খুব সমস্যা হয়। আমরা চাই, স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষিকা দেওয়া হোক। তাতে ছাত্রীদের পঠনপাঠন ভালো হবে।
গোপালপুর গ্রামে ললিতাসুন্দরী গার্লস স্কুল ১৯৬৮ সালে স্থাপিত হয়। ওই স্কুলে পঞ্চম-দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৭১৪জন ছাত্রী রয়েছে। অথচ স্কুলে শুধু শারীরশিক্ষা, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা রয়েছে। ইতিহাস, ভূগোল ও বিজ্ঞান বিভাগের কোনও শিক্ষিকা নেই। স্কুলে আরও ১১জন শিক্ষিকার দরকার। টিআইসিকেই মিড-ডে মিলের হিসাব সহ ক্লার্কের কাজ করতে হয়। তারপরে আবার তাঁকে ক্লাসও নিতে হয়।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে স্কুলের তিনজন শিক্ষিকা উৎসশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে বদলি হয়ে যান। তারপর থেকেই স্কুলটি শিক্ষিকার অভাবে ধুঁকছে। আশপাশের ১০-১২টি গ্রামের ভরসা ওই স্কুল। অভিভাবকদের একাংশ জানান, স্কুলে অঙ্কের কোনও শিক্ষকা নেই। স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের পড়া নিয়ে তাঁদের খুব দুশ্চিন্তায় থাকতে হয়।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সুকান্ত রায় চৌধুরী বলেন, আমরা স্কুলে শিক্ষিকা চেয়ে বিধায়ককে জানিয়েছি। স্কুলশিক্ষা দপ্তরেও বিষয়টি জানিয়েছি। শিক্ষিকার অভাবে স্কুলের পঠনপাঠনে সমস্যা হচ্ছে।
ওই স্কুলে ১৪জন স্থায়ী শিক্ষিকার পদ রয়েছে। তার মধ্যে ১১টি পদ খালি রয়েছে। ২০১৪ সালে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অবসর নেন। তারপর থেকে টিআইসি দায়িত্বে রয়েছেন। গ্রামের দু’জন বিনা পারিশ্রমিকে স্কুলে এসে মাঝেমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস নেন। স্কুলে পড়ুয়াদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য পুরস্কার চালু রয়েছে। মঙ্গলবার ওই স্কুলের বাৎসরিক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে ১২৫জন ছাত্রীকে ভালো পড়াশোনার জন্য পুরস্কৃত করা হয়।
কিন্তু অভিভাবকদের অনেকেই বলছেন, বিষয়ভিত্তিক স্থায়ী শিক্ষিকার বড় অভাব রয়েছে। ফলে ছাত্রীদের ভালো নম্বর পাওয়া খুব কঠিন। মাধ্যমিকে আগামী দিনে ছাত্রীরা অঙ্ক কীভাবে পারবে-তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্কুলে অন্তত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষিকা দেওয়া হোক-এমনটাই আবেদন অভিভাবকদের। • এই সেই স্কুল। -নিজস্ব চিত্র