বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে রাজারহাটের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ব্রিটিশ শাসনকালে রাজারহাটের অখ্যাত গ্রাম বাগু আত্মগোপনের জায়গা ছিল বিপ্লবীদের। এই বাগুতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আদর্শে গড়ে উঠেছিল বাগু ‘পল্লি নিকেতন’। এই আস্তানায় স্বাধীনতা সংগ্রামী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সহযোগী মেজর সত্যগুপ্ত, নিকুঞ্জ সেন, কুমুদচন্দ্র সরকার, জ্যোতিষচন্দ্র জোয়ারদার, রসময় শূর, ভূপেন্দ্রকিশোর রক্ষিত, হেমচন্দ্র ঘোষ সহ বহু বিপ্লবীর আনাগোনা ছিল। পল্লি নিকেতনে প্রবেশের মুখে সারিবদ্ধভাবে রয়েছে তাঁদের আবক্ষ মূর্তি ও সংক্ষিপ্ত জীবনী। ভোটের মুখে এই পল্লি নিকেতনের হাল ফেরানোর দাবিতে সরব হয়েছেন রাজারহাটের বাসিন্দারা।
তপ্ত দুপুরে পল্লি নিকেতনে গাছের ছায়ায় বসেছিলেন কয়েকজন যুবক। তাঁদের কাছে পল্লি নিকেতনের হাল-হকিকত জানতে চাওয়া হলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন পবিত্র মণ্ডল, বিভাস মণ্ডল, রাজেশ মণ্ডল, সোমনাথ মণ্ডলরা। তাঁরা বললেন, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের আস্তানা পল্লি নিকেতন বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সংস্কারের নামগন্ধ করছে না কেউ। এটি দেখভালের জন্য আগে সরকারি কর্মচারী ও নিরাপত্তা রক্ষী ছিলেন। তাঁরা অবসর নিলেও নতুন কর্মী নিয়োগ হয়নি। স্থানীয় সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার সব জানলেও কোনও ভূমিকা পালন করেননি। তাঁর তহবিলের টাকাও এই খাতে খরচ করেননি তিনি। আমরা চাই, পল্লি নিকেতনের উন্নয়ন। এর পাশেই রয়েছে একটি জলাশয়। সেটি দেখিয়ে পবিত্র মণ্ডল বলেন, সংস্কারের অভাবে পুকুর শুকিয়ে গিয়েছে। পাঁচিল নেই। পল্লি নিকেতনের নাম লেখা বোর্ড ভেঙে চৌচির। রাজারহাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর কর বলেন, পল্লি নিকেতনে কর্মচারী নিয়োগের ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। আমরাই উদ্যোগ নিয়ে পল্লি নিকেতনের প্রবেশদ্বার তৈরি করেছি। পল্লি নিকেতন কমিটির সেক্রেটারি চণ্ডীদাস রায় বলেন, ২০২০ সালে চিঠিপত্র জমা করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলেছিল, এখন নিয়োগের অর্ডার নেই। পরে হলে জানিয়ে দেওয়া হবে। -নিজস্ব চিত্র