বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া হোলি চাইল্ড স্কুলের ছাত্র শ্রমণ ও ওদলাবাড়ি ডন বসকো স্কুলের ছাত্র স্বপ্নজিৎ বিশ্বাসের স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার। আর সেই লক্ষ্যেই সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত দফায় দফায় ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই পড়াশোনা করত তারা।
ওদলাবাড়ি ডন বসকো স্কুলের ছাত্র স্বপ্নজিৎ বিশ্বাসের নজরকাড়া সাফল্য প্রসঙ্গে ডন বসকো স্কুলের প্রিন্সিপাল ফাদার টিজো থমাসের দাবি, স্বপ্নজিৎ ৯৯.৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। ও মেধা তালিকার প্রথম দিকে থাকবে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত।
মালবাজার শহরের বাসিন্দা স্বপ্নজিৎ ইংরেজিতে ৯৮ ও সম্মিলিতভাবে বিজ্ঞানে ৯৯ ছাড়া অন্যান্য সমস্ত বিষয়ে ফুল মার্কস ১০০ পেয়েছে। পেশায় শিক্ষক শিক্ষিকা স্বপ্নজিতের বাবা মা সুব্রত বিশ্বাস ও মা জয়শ্রী বিশ্বাস বলেন, পড়াশোনার প্রতি সবসময় ছেলের আগ্রহ দেখেছি। ওকে আলাদা করে পড়ার জন্য বলতে হয় না। স্বপ্নজিৎ বলে, ভালো রেজাল্টের জন্য আমার অভিভাবকরাই মূলত গাইড করেছেন। সেসঙ্গে স্কুলও।
অন্যদিকে, শ্রমণের বাবা পেশায় শিক্ষক উৎপল দত্তের কথায়, ছেলে সময় বেঁধে সব করে। পড়াশোনার জন্য ওকে কখনও শাসন করতে হয়নি। বরাবরই পড়াশোনায় ভালো। তবে ও যে এতটা নম্বর পাবে আমরাও ভাবিনি। শ্রমণ বলে, ফুটবল খেলতে ভালোবাসি। কিন্তু ভবিষ্যতে আমি চিকিৎসক হতে চাই। তারজন্য নিট পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে আছে। বিজ্ঞান বিভাগের বিষয়গুলিতে ফুল মার্কস ১০০ নম্বরই পেয়েছি। তারমধ্যে কেমিস্ট্রি, অঙ্ক, বায়োলজি ও কম্পিউটার সায়েন্স রয়েছে। ইংরেজি (ফার্স্ট পেপার) ও ইংরেজি (সেকেন্ড পেপার) মিলিয়ে ৯৭, ইতিহাস ও ভূগোল মিলিয়ে ৯৯ নম্বর পেয়েছি।
কোচবিহারের সেন্ট মেরিস হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র সৌমাভ প্রধান ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। কোচবিহারের বামনপাড়ার বাসিন্দা সৌমাভ পড়াশোনোর পাশাপাশি ক্রিকেট খেলা দেখতে ও গোয়েন্দা গল্প পড়তে ভালোবাসে। সৌমাভর কোনও গৃহশিক্ষক ছিল না। মা সোমা প্রধানের কাছেই পড়াশোনা করত। বাবা কৌশিক প্রধান উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। সৌমাভ ইংরেজি গ্রুপে ৯৭ শতাংশ, বাংলা গ্রুপে ৯৬ শতাংশ, ইতিহাস, সিভিক ও ভূগোল গ্রুপে ১০০ শতাংশ, বিজ্ঞান, কম্পিউটার অ্যাপ্লেকেশন গ্রুপে ১০০ শতাংশ ও অঙ্কে ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। সৌমাভ বলে, স্কুল থেকে আসার পর ছয়-সাতঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। ছুটির দিন আরও বেশি সময় দিতাম। সৌমাভর বাবা কৌশিকবাবু বলেন, ছেলের সাফল্যে আমরা খুবই খুশি।
শিলিগুড়ির সেন্ট মাইকেল স্কুলের দুই ছাত্র মানব মোতানি এবং বিবেক আগরওয়াল ৯৯.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে চমক দিয়েছে। দু’জনেরই বাড়ি বিহারে। স্কুলের হস্টেলে থেকে তারা পড়াশোনা করত। মানব এখন দিল্লিতে আইআইটি’র কোচিং নিচ্ছে। বিবেকও দিল্লিতে। সে বিজ্ঞান নিয়ে সেখানকার একটি স্কুলে পড়ছে।এছাড়াও মাটিগাড়া সেন্ট জোসেফ স্কুলের দেবোত্তমা ভট্টাচার্য ৯৮.৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। বাবা ও মায়ের সঙ্গে ওদলাবাড়ি ডন বসকো স্কুলের ছাত্র স্বপ্নজিৎ বিশ্বাস।-নিজস্ব চিত্র