বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মমতা রাজনৈতিক বক্তব্য শুরুর আগে দেউচা পাচামির কথাই সর্বপ্রথম উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি দেউচা পাচামি হতে যাচ্ছে বীরভূমে। কমপক্ষে ৩৫ হাজার কোটি টাকা এখানে বিনিয়োগ হবে। ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। নিজেদের জমিও ছিল। তবুও ১৪২২ জন জমিদাতাকে পুলিসের কনস্টেবল ও গ্রুপ ডি পদে চাকরি দিয়েছি। যাদের ১৮ বছর হয়নি, তারা মাসে ১০ হাজার পাচ্ছে। বাংলার ১০০ বছরের বিদ্যুতের জোগান দেবে এই দেউচা পাচামি, যা বাইরের রাজ্যেও আমরা বিক্রি করতে পারব। তাতে আপনারাও গর্বিত হবেন। এরপর তিনি জেলার উন্নয়নের খতিয়ান উল্লেখ করতে গিয়ে ফের একবার দেউচা পাচামি নিয়ে আশার আলো দেখান। তিনি বলেন, যেই ১ লক্ষ ছেলের চাকরি হয়ে যাবে, দেখবেন বীরভূমের কোনও ঘরে, কোনও ছেলে আর বেকার থাকবে না। এই প্রোজেক্ট করতে ৬টি রাজ্যের কেউ রাজি ছিল না। তখন বলি, এটা বাংলাই করবে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, দেউচা পাচামির মধ্য দিয়ে শুধু বীরভূম নয়, গোটা রাজ্যের শিল্প-মানচিত্রে একটা বিপ্লব আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।
সাম্প্রতিককালে মুখ্যমন্ত্রী যতবার বীরভূমে এসেছেন, ঠিক ততবারই তাঁর মুখে শোনা গিয়েছে এই কয়লাখনি প্রকল্পের কথা। সরকারের শিল্পনীতির ভিত কতটা গভীর, এই প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বিরোধীদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। তিনি যে বাসিন্দাদের জমি জোর করে নেওয়ার বিরুদ্ধে, এই প্রোজেক্টের মাধ্যমে সেটা দেশের মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। আর কর্মসংস্থান? সেকথাও নিজের মুখে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কয়লা উত্তোলনের আগেই এত সংখ্যক স্থানীয় বাসিন্দাদের সরকারি চাকরি হল। আগামী দিনে জেলার উন্নয়নের শ্বেতপত্রে দেউচা পাচামি প্রকল্পই যে তৃণমূলের তুরুপের তাস, তা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তৃণমূল নেতাদের কথায়, এটাই মা-মাটি-মানুষের সরকারের শিল্পনীতি।
রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জননেত্রী তো বারে বারে বলে দিয়েছেন, এই দেউচা পাচামি হবে আগামীতে বাংলার ভবিষ্যৎ। যে পরিমাণ কয়লা ভাণ্ডার এখানে রয়েছে, তাতে রাজ্যের শিল্প উন্নয়নের দিকেও বিরাট সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী যখন কথা দেন, তখন তিনি তা করে দেখান। বাস্তবে সেটাই হল। কয়লা উত্তোলন যেখানে শুরুই হল না, সেখানে এত মানুষের চাকরি হয়ে গেল।
অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর গলায় ফের দেউচা পাচামির কথা শুনে উচ্ছ্বসিত এলাকার মানুষ। চাকরি প্রাপক তালিকায় থাকা এক দেউচার বাসিন্দা সুজয় মুদি বলেন, আমরা তো বরাবরই শিল্পের পক্ষে ছিলাম। এখন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটাই আবেদন, যেন দ্রুত বাকি চাকরিগুলোও দিয়ে দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে বিজেপির দাবি, তারা শিল্পের বিরুদ্ধে নয়, কিন্তু আদিবাসীদের জমি উচ্ছেদের সরাসরি বিরোধিতা করছে তারা। নিজস্ব চিত্র