বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বনগাঁ-শিয়ালদহ লোকালে দু’টি ভেন্ডার কামরা থাকলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। এইসব ভেন্ডার কামরায় সাধারণ যাত্রীরা ভিড় করায় পণ্য পরিবহণে সমস্যায় পড়তে হয় ব্যবসায়ীদের। বিশেষ করে সকালের দিকে অফিস টাইমে ব্যাপক সমস্যা হয়। শিয়ালদহ থেকে ফেরার সময় খালি ঝুড়ি নিয়ে ফিরতেও সমস্যা। কারণ ভেন্ডার কামরায় সাধারণ যাত্রীরা ভিড় করে থাকেন। পুরাতন বনগাঁর বাসিন্দা পুণ্য ঘোষ বলেন, প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কৃষিপণ্য পরিবহণের কাজ করি। এই লাইনে একটা কৃষক স্পেশাল ট্রেন চালু হলে ভালো হয়। সকালের দিকেই স্পেশাল ট্রেন দরকার। তাঁর আক্ষেপ, কোনও নেতা আমাদের কথা ভাবেন না। ভোটের আগে অনেকে অনেক কথা বলেন। ভোট মিটলেই সবাই ভুলে যান।
আরেক ব্যবসায়ী গৌতম সর্দার বলেন, একজন ব্যবসায়ী মাত্র দুই কুইন্টাল পণ্য বুকিং করতে পারেন। এই স্বল্প পণ্য বুকিং করতেই মাথার ঘাম পায়ে পড়ে। যদি পণ্যের পরিমাণ তার কিছু বেশি হয়, তাহলেই ফাইন দিতে হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অনেক জায়গায় একজন পাঁচ কুইন্টাল পর্যন্ত পণ্য বুক করা যায়। কিন্তু বনগাঁ থেকে দুই কুইন্টালের বেশি বুক করা যায় না।
বনগাঁ সীমান্তবর্তী জংশন স্টেশন। এই স্টেশন হয়েই যাত্রীবাহী ট্রেন যাতায়াত করে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে। একইভাবে মালগাড়িও চলাচল করে দু’দেশের মধ্যে। গত পাঁচ বছর বনগাঁর সাংসদ ছিলেন বিজেপি’র শান্তনু ঠাকুর। এবারও তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। ব্যবসায়ীদের দাবি, তাঁদের জন্য সংসদে কৃষক স্পেশাল ট্রেনের দাবি তোলেননি সাংসদ। এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বনগাঁর তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, আমি জিতে লোকসভায় গেলে নিশ্চিতভাবেই এই দাবি তুলে ধরব।