Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

চব্বিশের আসল নায়ককে মোদিজির স্বীকৃতি
পি চিদম্বরম

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসের ইস্তাহার রচনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে। রাহুল গান্ধী কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত পদযাত্রার এক ঐতিহাসিক কর্মসূচি নিয়েছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য কী ছিল? সাধারণ মানুষের সমস্যা ও উদ্বেগের কথাগুলি শুনবেন। চাক্ষুষ করবেন মানুষগুলি কীভাবে এবং কোন পরিস্থিতিতে বেঁচে আছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন এত মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা কী, যা পূরণ হয়নি। উদয়পুর কনক্লেভ কংগ্রেস নেতাদের তিনদিনের জন্য এক জায়গায় হওয়ার সুযোগ করে দেয়। দেশ আজ যেসব মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে, আগামী দিনে সেই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা কীভাবে সম্ভব, তা নিয়ে আলোচনা করা গিয়েছে সেখানে। তার পাশাপাশি রায়পুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এআইসিসির অধিবেশন। বস্তুত, সেটি দলের জন্য বিভিন্ন নীতি গ্রহণের একটি সংহত এবং নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠতে পেরেছে। সেগুলি ওই রাজ্যে তো বটেই, জাতীয় নির্বাচনেও বিজেপিকে মোকাবিলার পক্ষে হয়েছে সহায়ক।
‘নব সংকল্প অর্থনৈতিক নীতি’ তৈরি করা হয়েছিল উদয়পুরে। গরিব শ্রেণির পাশে দাঁড়ানোর নীতি রায়পুরে ভেবেচিন্তেই নেওয়া হয়েছিল। কংগ্রেসের ইস্তাহারটি প্রকাশিত হয় ৫ এপ্রিল। এটির নাম দেওয়া হয় ‘ন্যায়পাত্র’। সেখানে ৪৬ পৃষ্ঠা জুড়ে বর্ণিত হয়েছে জনগণের বিশাল অংশের জন্য নস্যাৎ হয়ে যাওয়া ‘ন্যায়বিচার’ প্রদানের নানাদিক। ‘ন্যায়বিচার’ শব্দটি সেখানে গৃহীত হয়েছে বিবিধ অর্থে। তার মধ্যে রয়েছে সামাজিক ন্যায়বিচার, যুবদের জন্য ন্যায়বিচার, মহিলাদের জন্য ন্যায়বিচার, কৃষকদের জন্য ন্যায়বিচার এবং শ্রমিকদের জন্য ন্যায়বিচার।
জনগণের বৃহৎ অংশ বৈষম্যের শিকার। দেশের শ্রীবৃদ্ধির কাহিনি, সেটি দ্রুত বা মন্থর যেমনই হোক না কেন, তাতে অংশগ্রহণের ন্যায্য সুযোগ থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। মোদি সরকারের ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর পর্দা ফাঁস করে দিয়েছে কংগ্রেসের এই ইস্তাহার। এই ইস্তাহার ওই সঙ্গে আর যে মারাত্মক কাজটি করেছে তা হল,  দেশের শাসকের সামনে একটি আয়না ধরেছে। এটি পদক্ষেপের উপযুক্ততা এবং ন্যায়বিচারের (ইকুইটি অ্যান্ড জাস্টিস) সঙ্গে শ্রীবৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটি বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গিও উপস্থাপন করেছে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন কংগ্রেসের ইস্তাহারটিকে ২০২৪-এর নির্বাচনের হিরো বা নায়ক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি গোড়ার দিকে কংগ্রেসের ইস্তাহারটিকে উপেক্ষা করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এমন একটি নথিকে সংবাদ মাধ্যমও তেমন পাত্তা দেয়নি। এই ইস্তাহারের অনূদিত সংস্করণগুলি পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যে রাজ্যে। 
কংগ্রেসের প্রার্থী এবং প্রচারকরাও গ্রাম, শহর নির্বিশেষে এই নথির নিহিত বার্তা মানুষকে জানাচ্ছেন। তার ফলে কংগ্রেসের ইস্তাহারটি মানুষের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে।৫ এপ্রিল থেকে ন’দিন অতিবাহিত হওয়ার পর বিজেপি তাদের ইস্তাহার প্রকাশ করে। কেউ তা খেয়ালই করেনি। ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ শিরোনামের নথির মাধ্যমে মোদি-পূজার যেসব উপকরণ সাজানো হয়েছে, স্বয়ং নরেন্দ্র মোদিও তার প্রশংসা করেননি। বিজেপির ইস্তাহার প্রকাশের মাত্র একসপ্তাহ বাদে, ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় ১০২টি আসনের ভোট। ইন্টেলিজেন্সের খবর বিজেপির জন্য স্পষ্টতই খারাপ ছিল। এটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, যেসব ভোটার কংগ্রেস এবং তার মিত্রদের সমর্থন করেছেন, তাঁরা ভোট দিয়েছেন ইস্তাহারে দেওয়া ‘প্রতিশ্রুতি’র পক্ষে, ঠিক যেমন তাঁরা কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় ‘গ্যারান্টি’র প্রশ্নে ছিলেন। নরেন্দ্র মোদির ‘গ্রেটেস্ট অফ অল টাইম’ (সংক্ষেপে ‘জিওএটি’ বা ‘গোট’) স্লোগান ফেল করার কারণে ২১ এপ্রিল তিনি সুর পাল্টে ফেলেছেন।
বিজেপি তার সমস্ত নেতা এবং সদস্যদের জন্য যে চিত্রনাট্য তৈরি করেছে তা গোয়েবলসকে গর্বিত করবে: মিথ্যা, আরও মিথ্যা এবং আরও মিথ্যা; সত্য যদি মিথ্যাকে খণ্ডন করে, সত্যকে উপেক্ষা কর। গত দু’সপ্তাহ যাবৎ চালানো মিথ্যার একটি নমুনা এখানে রইল: মিথ্যা: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মুসলিম লিগের ছাপ রয়েছে।
সত্য: অথচ, ৪৬ পৃষ্ঠার একটিতেও ‘মুসলিম’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। ইস্তাহারে ‘সংখ্যালঘু’ বলতে ধর্মীয় ও ভাষাগত উভয় সংখ্যালঘুকেই বোঝানো হয়েছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, ‘ভারতের সংবিধানে ভাষাগত এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মানবিক ও নাগরিক অধিকারগুলি দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস এই অধিকারগুলি প্রদানের এবং রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’ ইস্তাহারে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের কল্যাণের অনেক কথারই উল্লেখ রয়েছে, কিন্তু কোথাও কোনও ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উল্লেখ নেই।
মিথ্যা: কংগ্রেস নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় ফিরলে শরিয়ত আইন চালু করে দেবে।
সত্য: কিন্তু ইস্তাহারে বলা হয়েছে, ‘আমরা পার্সোনাল ল বা ব্যক্তিগত আইনের সংস্কারে উৎসাহ দেব। তবে এই ধরনের সংস্কার অবশ্যই করা হবে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে এবং সম্মতিতে।’
মিথ্যা: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মার্কসবাদী এবং মাওবাদী অর্থনৈতিক তত্ত্বের কথা বলা হয়েছে।
সত্য: ১০ পৃষ্ঠা জুড়ে আলোচিত হয়েছে অর্থনৈতিক প্রসঙ্গগুলি। তার ভূমিকায় কংগ্রেস বলেছে যে, কংগ্রেসের আর্থিক নীতির বিকাশ ঘটেছে বহু বছরের চেষ্টায়। দেশে উদারীকরণের যুগের সূচনা ১৯৯১ সালে এবং কংগ্রেসের হাতে। সেই সুবাদে দেশ পা বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাযুক্ত একটি মুক্ত, স্বাধীন এবং প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতির দিকে। তার ফলে দেশ উপকৃত হয়েছে নানাভাবে। যেমন—বিপুল পরিমাণ সম্পদ সৃষ্টি হয়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন নতুন ব্যবসা এবং উদ্যোপতি। মাথা তুলেছে একটি সমৃদ্ধ মধ্যবিত্ত শ্রেণি। লক্ষ লক্ষ চাকরির দরজা খুলে গিয়েছে যুবদের সামনে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং রপ্তানির ক্ষেত্রে বহু গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনও দেখেছি আমরা। লক্ষ লক্ষ মানুষকে দারিদ্র্যের গণ্ডি থেকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। একটি মুক্ত অর্থনীতির প্রতিই আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছি। প্রাইভেট সেক্টর বা বেসরকারি ক্ষেত্র অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে নেতত্ব দেবে, তবে তা হয়ে উঠবে একটি শক্তিশালী এবং কার্যকরী পাবলিক সেক্টর বা সরকারি ক্ষেত্রের পরিপূরক।’
মিথ্যা: নির্বাচিত হলে কংগ্রেস এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণ তুলে দেবে।
সত্য: অথচ, এই নির্বাচনী ইস্তাহারে বলা হয়েছে, ‘কংগ্রেস গ্যারান্টি দেয় যে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষণের ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বসীমা বৃদ্ধির জন্য তারা একটি সাংবিধানিক সংশোধনী পাস করবে। চাকরি এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে,  আর্থিক দিক থেকে দুর্বল শ্রেণির (ইডব্লুএস) জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ কার্যকর করা হবে কোনওরকম বৈষম্য ছাড়াই, সেখানে সমস্ত জাতি ও সম্প্রদায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত শূন্যপদগুলি সমস্ত ‘ব্যাকলগ’ ধরেই আমরা এক বছরের মধ্যে পূরণ করব।’ এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের উন্নয়নে আরও অনেক প্রতিশ্রুতি রয়েছে কংগ্রেসের ইস্তাহারে।
মিথ্যা: কংগ্রেস উত্তরাধিকার কর আরোপ করবে।
সত্য: কর ব্যবস্থা এবং কর সংস্কারের ব্যাপারে ইস্তাহারে ১২ দফা আলোচনা রয়েছে। সেখানে কংগ্রেস একটি ‘ডাইরেক্ট ট্যাক্স কোড’ চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর প্রতিশ্রুতি রয়েছে—পাঁচ বছরের জন্য স্থিতিশীল ব্যক্তিগত আয়কর হার এবং ক্যাপ সেস ও সারচার্জের হার ৫ শতাংশ বজায় রাখা। পাস করা হবে জিএসটি ২.০। এছাড়া ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) এবং ছোট খুচরো ব্যবসার উপর থেকেও করের বোঝা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কংগ্রেস। উত্তরাধিকার কর নিয়ে কোনও কানাঘুষোও তাদের ইস্তাহারে নেই।
নরেন্দ্র মোদি মিথ্যা প্রচার করে চলেছেন। কংগ্রেসের ইস্তাহারের সত্যকে নির্বাচনী বিতর্কে এনে দিতে পেরেছেন তিনিই। পাশাপাশি, বিজেপির ইস্তাহারের কোনও উল্লেখ তাঁর কথায় পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে, কংগ্রেসের ইস্তাহার নিয়ে এম কে স্ট্যালিনের বক্তব্যকেই সমর্থন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে, কংগ্রেসের ইস্তাহারই হল চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আসল নায়ক। 
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
06th  May, 2024
মোদিজি, গন্ধটা কিন্তু বেশ সন্দেহজনক!
হিমাংশু সিংহ

কোনও দল, কোনও নেতা কিংবা সংগঠন কখন নির্বাচন চলাকালীন কেঁচে গণ্ডূষ করে ফেলে? বারবার কথা বদলায়? যাকে ছুড়ে ফেলে দিচ্ছিলেন, তাকেই আবার বুকে টেনে নেন? সহজ উত্তর, পায়ের তলার মাটি টালমাটাল হলে, কিংবা অনিশ্চয়তার আশঙ্কায় আচমকা বেড়ে গেলে বুকের ধড়ফড়ানি। বিশদ

আরামবাগে বিজেপির ভরসা তৃণমূলের গদ্দাররাই
তন্ময় মল্লিক

আরামবাগ লোকসভা আসনটি দলের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম নির্বাচনী সভা করেছেন এখানে। শুধু তাই নয়, বেনজিরভাবে একই লোকসভা কেন্দ্রে দু’-দু’বার জনসভা করলেন নরেন্দ্র মোদি। বিশদ

18th  May, 2024
মহিলা-মুসলিম-গরিব: বঙ্গভোটে বড় ফ্যাক্টর
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা কেন ভোট দিই? কেউ ভোট দেয় নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন করতে। নিজের পছন্দের দল ক্ষমতাসীন হোক অথবা প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নিজেই সবথেকে বেশি আসন পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠুক, এটা দেখতে ভালো লাগে। ভাবতে ভালো লাগে। বিশদ

17th  May, 2024
একনায়কের পদধ্বনি!
মৃণালকান্তি দাস

জার্মানির রাজনীতিতে হিটলারের প্রবেশ ১৯১৯ সালে। ওয়াইমার রিপাবলিক-এর নতুন সংবিধানের জন্মও ওই বছরই। গণতান্ত্রিক অধিকারের মাপকাঠিতে এমন জোরদার সংবিধান দুনিয়ায় বিরল, মানবসভ্যতার শিখরে পৌঁছনোর অঙ্গীকার তার ছত্রে ছত্রে।  বিশদ

16th  May, 2024
দড়ি ধরে টান মারাটাও গণতন্ত্রের বড় শক্তি
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন পর্ব গড়িয়ে গড়িয়ে প্রায় শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে। চার পর্বের ভোট শেষে ফলাফলের দিশা অনেকটাই যেন পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর দিন কুড়ি পরেই বাস্তব চিত্রটা বোঝা যাবে। কিন্তু এর মধ্যেই সারা দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটা দেখে ‘হীরক রাজার দেশে’র শেষাংশের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বিশদ

15th  May, 2024
মতুয়াদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেবেন না মোদি
গোপাল মিস্ত্রি

আপনি কি মতুয়া? আপনার জন্ম কি ভারতেই? এই বাংলার মটিতে? আপনি এই মাটির জল-হাওয়ায় বড় হয়েছেন? আপনি কি চাকরিজীবী অথবা ব্যবসায়ী, কিংবা কৃষক? ভোট দেন কি? আপনার ভোটেই তো নির্বাচিত দেশজুড়ে মন্ত্রী, এমএলএ, এমপিরা। বিশদ

15th  May, 2024
এক বছরের প্রধানমন্ত্রী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পাওয়ার সেন্টার। হতে পারে বিশেষ কোনও ব্যক্তি, বা একটা কোর গ্রুপ। কোম্পানি চালাতে, পার্টি, রাজ্য কিংবা দেশ... পাওয়ার সেন্টারকে কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। গণতন্ত্রেও না। কারণ, গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে ঠিকমতো প্রয়োগ করার জন্যও একজন ব্যান্ড মাস্টার প্রয়োজন। বিশদ

14th  May, 2024
একজন ‘শক্তিশালী’ নেতা মিথ্যা বলবেন কেন?
পি চিদম্বরম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন স্বঘোষিত ‘শক্তিশালী’ নেতা। তিনি প্রায়ই তাঁর ৫৬ ইঞ্চির বুকের ছাতি নিয়ে অহঙ্কার করতেন। তাঁর অনুগামীরা—খান মার্কেট চক্রের নিয়ন্ত্রণ, শহুরে নকশালদের উপড়ে ফেলা, টুকরে-টুকরে গ্যাংকে ধ্বংস করা, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়া, সহযোগী সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজির কার্যত বিলুপ্তি, মূলধারার মিডিয়াকে বশীভূত করা এবং ‘বিশ্বগুরু’ হিসেবে ভারতের কাল্পনিক মর্যাদার দিকে ইঙ্গিত করেন। বিশদ

13th  May, 2024
নিরপেক্ষ রেফারি ছাড়া খেলার মূল্য কী?
জি দেবরাজন

ভারতের সংবিধানের ৩২৪ অনুচ্ছেদের অধীনে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। এই ধারাটি কমিশনকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার ক্ষমতা দেয়। কমিশনের কর্মপদ্ধতি ‘আইনসম্মত’ এবং ‘নিরপেক্ষ’ বলেই বিশ্বাস করা হয়। বিশদ

13th  May, 2024
আক্রমণ ছেড়ে মোদিজি আত্মরক্ষায় কেন?
হিমাংশু সিংহ

ছবিটা একবার ভাবুন। নরেন্দ্র মোদি একক প্রচেষ্টায় গোল করতে পারছেন না, উল্টে নিজের পেনাল্টি বক্সে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত গোল বাঁচাচ্ছেন। গোলকিপার না স্ট্রাইকার ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। অনেক দূরে অমিত শাহ। বাকিদের মেঘ-রোদ্দুরে ঠিক ঠাওরই করা যাচ্ছে না। বিশদ

12th  May, 2024
‘ধর্মগুরু’র কোটি টাকার ফ্ল্যাট, দ্বিধায় মতুয়ারা
তন্ময় মল্লিক

পাশাপাশি দু’টি মন্দির। একটি হরিচাঁদ ঠাকুরের, অন্যটি গুরুচাঁদের। পায়ের চাপে ভেঙে যাওয়া ভক্তদের ছড়ানো বাতাসার গুঁড়ো সরিয়ে গোবরজলে ধোয়া হয়েছে মন্দির চত্বর। তাতে নোংরা গেলেও কটু গন্ধে টেঁকা দায়। ভন ভন করছে মাছি। বিশদ

11th  May, 2024
বাংলার অপবাদের ক্ষতিপূরণ কীভাবে হবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

দুটি বাসযাত্রার কাহিনি। অথচ মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে কতটা বদলে গিয়েছে ভাবমূর্তি। ২০১৮ সালে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন কভার করতে গিয়েছিলাম। বাসে ভোপাল থেকে বুধনি যাওয়ার সময় সহযাত্রী এক সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী আশ্চর্য কথা বলেছিলেন। বিশদ

10th  May, 2024
একনজরে
পার্লামেন্টের পানশালায় মদ্যপ অবস্থায় দুই বক্তির সঙ্গে অশালীন আচরণ। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে অভিযোগ। আর তার জেরেই ব্রিটেনের হাউজ অব লর্ডসের পানশালা থেকে এক বছরের জন্য ...

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে ঠান্ডা পানীয় তৈরিতে দেদার ব্যবহৃত হচ্ছে মাছ, মাংস সংরক্ষণের বরফ! বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর, বুনিয়াদপুর শহর সহ প্রত্যেকটি ব্লকের বাজারগুলিতে থাকা মিষ্টি ও ঠান্ডা ...

ভোটের মুখে শুরু হয়েছে রাস্তা তৈরির কৃতিত্ব নিয়ে কাড়াকাড়ি। প্রচারে গিয়ে বিজেপির বিদায়ী সাংসদ দাবি করেছিলেন, আমডাঙা বিধানসভার কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্করগাছি মোড় থেকে সন্তোষপুর মোড় পর্যন্ত রাস্তাটি তাঁর তহবিলের টাকায় তৈরি। ...

তীরে এসেও ডুবল তরি। পাঞ্জাব এফসি’র বিরুদ্ধে ৩-২ গোলে হেরে ডেভেলপমেন্ট লিগে রানার্স ইস্ট বেঙ্গল। খেতাবি লড়াইয়ে বিনো জর্জকে টেক্কা দিলেন শঙ্করলাল চক্রবর্তী। ‘অপরাজেয় চ্যাম্পিয়ন’ শব্দবন্ধই পাঞ্জাবের ধারাবাহিকতার প্রমাণ।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯০: ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা ও গণপ্রজাতন্ত্রী ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী হো চি মিনের জন্ম
১৯০৮: লেখক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৪: ভারতের অগ্রণী শিল্পপতি ও টাটা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজী টাটার মৃত্যু
১৯১৩: ভারতের ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি নীলম সঞ্জীব রেড্ডির জন্ম
১৯২২: বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী অমর পালের জন্ম
১৯৩৪: ব্রিটিশ বংশোদ্ভুত ভারতীয় লেখক রাসকিন বন্ডের জন্ম
১৯৩৮: অভিনেতা গিরীশ কারনাডের জন্ম
১৯৫৮: ঐতিহাসিক স্যার যদুনাথ সরকারের মৃত্যু
১৯৭৪: চলচ্চিত্র অভিনেতা  নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকীর জন্ম
১৯৯৭: বাংলা তথা ভারতীয় নাট্যজগতের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব শম্ভু মিত্রের মৃত্যু
২০০১: প্রথম অ্যাপল রিটেইল স্টোর উদ্বোধন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৫৩ টাকা ৮৪.২৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৩ টাকা ১০৭.৭১ টাকা
ইউরো ৮৯.২৯ টাকা ৯২.৪৬ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৪,৭০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৫,১০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭১,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪। একাদশী ২২/১০  দিবা ১/৫১। হস্তা নক্ষত্র ৫৫/৪৩ রাত্রি ৩/১৬। সূর্যোদয় ৪/৫৮/৪৪, সূর্যাস্ত ৬/৭/২০। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৪৪ গতে ৯/২২ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৯ গতে ২/৩৭ মধ্যে। রাত্রি ৭/৩৪ মধ্যে পুনঃ ১০/২৮ গতে ১২/৩৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/২২ গতে ৫/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১২ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৬ মধ্যে। 
৫ ‌জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১, রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪। একাদশী দিবা ১/২৪। হস্তা নক্ষত্র রাত্রি ৩/৫।সূর্যোদয় ৪/৫৮, সূর্যাস্ত ৬/১০। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪২ গতে ৯/২২ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪৪ মধ্যে ও ১০/৩৪ গতে ১২/৪০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৪/৩২ গতে ৫/২৪ মধ্যে। বারবেলা ৯/৫৫ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১২/৫৫ গতে ২/১৬ মধ্যে। 
১০ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তালের রস খেয়ে শিশুর মৃত্যু, চাঞ্চল্য
তালের রস খেয়ে মৃত্যু হল এক শিশুর। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের এই ...বিশদ

10:52:58 AM

তামিলনাড়ুর একাধিক জায়গায় ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা

10:50:00 AM

তমলুক শহরে প্রচারে দেবাংশু ভট্টাচার্য

10:49:42 AM

মাদারিহাটে হাতির মৃতদেহ উদ্ধার
মাদারিহাট রেঞ্জের ইসলামাবাদ এলাকায় একটি পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃতদেহ উদ্ধার। আজ, ...বিশদ

10:47:08 AM

যোধপুর পার্কে নির্বাচনী প্রচারে সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম

10:43:00 AM

শহরের আবহাওয়ার হাল-চাল
আজ, রবিবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ...বিশদ

10:39:23 AM