পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
এদিকে কলকাতায় যে পাঁচজনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন রাজারাম, তাঁদের চিহ্নিত করেছে এসটিএফ। সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হচ্ছে। তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য মিলেছে। এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে কি না, সেটাও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এর মধ্যে একজন অভিষেকের বাড়ির রেকি পর্বে রাজারামের সঙ্গ দিয়েছিল বলে জেনেছে লালবাজার। যে অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে নিউ মার্কেট এলাকার হোটেলে এসেছিলেন রাজারাম, সেটিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। চালকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে খবর। রাজারাম ইস্যুতে আরও বিশদ তদন্তে মুম্বই যাচ্ছে কলকাতা পুলিসের টিম।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ও অফিসে রেকি করার ঘটনায় অভিযুক্ত রাজারামের ২২ তারিখ পর্যন্ত হোটেলে বুকিং ছিল। কিন্ত ২০ তারিখ তিনি তড়িঘড়ি কলকাতা ছাড়েন। হেডলির সহযোগী কেন নির্ধারিত দিনের আগে কলকাতা ছাড়লেন, তাই নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে রাজারামকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন বলে তদন্তকারীদের বক্তব্য। তাঁর ফোন ঘেঁটে বেশকিছু অ্যাপের সন্ধান মিলেছে। যেগুলির মাধ্যমে কথাবার্তার পাশাপাশি তথ্য আদানপ্রদান চলত বলে জেনেছেন অফিসাররা। সাধারণত নাশকতার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনগুলি এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করে। কেন তিনি এই অ্যাপ ব্যবহার করতেন সেটি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি ইন্টারনেট প্রোটোকল ডিটেইলস রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অভিযুক্ত কী কী কাজ করেছে তার তথ্য নিচ্ছে পুলিস। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অভিষেকের বাড়ি ও অফিসের ছবি অভিযুক্ত কোথাও পাঠিয়েছিল কিনা তা জানার চেষ্টা চলছে। এছাড়া বেশকিছু ফটো পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। অভিষেকের বাড়ি ও অফিসে আসার জন্য যে অ্যাপ ক্যাব ভাড়া করেছিলেন সেগুলিও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।