বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
জ্যৈষ্ঠ মাস এলে রাহুলের বাবার মৃত্যুর পাঁচ বছর হবে। তার আগে ছেলের এমন রেজাল্টে খুশি রীতাদেবী। তবে ছেলেকে নিয়ে স্বামীর স্বপ্ন পূরণ করতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্থিক অনটন। প্রাণী মিত্রের কাজ করে মাসে পাঁচ হাজার টাকা আয় হয়। সেই টাকাতেই সংসার আর ছেলের পড়াশুনার খরচ চলে। মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পরে ছেলের উচ্চশিক্ষার খরচ নিয়ে চিন্তা বেড়েছে। বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে দিনহাটার কোনও স্কুলে ভর্তি হতে চায় রাহুল। স্কুলে যাতায়াতের খরচ জোগানোর পাশাপাশি টিউশন, টিফিনের জন্য অনেক টাকা প্রয়োজন। আপাতত এক শিক্ষকের সহযোগিতায় বিজ্ঞান বিভাগের বই কেনা হয়েছে রাহুলের। এখন কীভাবে সব খরচ জোগাড় হবে তা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা গ্রাস করেছে রাহুল ও তার মাকে।
রাহুল গোসানিমারি হাইস্কুল থেকে এবারে মাধ্যমিকে ৬৬২ পেয়েছে। সে বাংলায় ৯৫, ইংরেজিতে ৮৭, অঙ্কে ৯৬, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৫, জীবন বিজ্ঞানে ৯২, ইতিহাসে ৯৮ এবং ভূগোলে ৯৯ পেয়েছে। রাহুল বলে, প্রতিদিন পাঁচ-ছয় ঘণ্টা করে পড়াশুনা করতাম। বড় হয়ে আইপিএস হওয়ার স্বপ্ন রয়েছে। সমাজে অনেক অনৈতিক কাজ হয়। সেগুলি আইপিএস হয়ে দূর করব।
মা রীতা রায় সরকার বলেন, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে ওর বাবার অনেক স্বপ্ন ছিল। রাহুলকে আইপিএস বানানোর কথা বলেছিল আমাকে। ছেলেকে নিয়ে স্বামীর স্বপ্ন পূরণ করাই আমার জীবনের লক্ষ্য। আর্থিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও ছেলের পড়াশুনায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না আসে সেজন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। কোনও প্রতিষ্ঠান বা সহৃদয় ব্যক্তি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে উপকৃত হব।