বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বীরভূমের ইলামবাজারের মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে পুষ্পিতা। গৃহশিক্ষক ছাড়াই মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান পেয়েছে সে। বাবা সত্যনারায়ণবাবু প্রাইভেট টিউটর। ইলামবাজারের নিউ ইন্ট্রিগ্রেটেড গভর্মেন্ট স্কুলের ছাত্রী পুষ্পিতা। এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এবছরই প্রথম মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয় স্কুলে। পুষ্পিতার বাড়িতে গিয়ে এদিন তাকে মিষ্টিমুখ করান স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপগোপাল মুখোপাধ্যায়। ছোট থেকেই মেধাবী পুষ্পিতা অঙ্ক নিয়ে গবেষণা করতে চান। পুষ্পিতার বাবা চাষবাসের জন্য রয়েছে সামান্য জমি। ছাত্রীর মা দ্বারোন্দা চণ্ডীমাতা উচ্চ বিদ্যালয়ের পার্শ্ব শিক্ষিকা। ৬৯১ এর মধ্যে বাংলা ও ইংরেজিতে তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৭ ও ৯৯। এছাড়া ভূগোল ও জীবন বিজ্ঞান সে ১০০ করে পেয়েছে। ভৌতবিজ্ঞানে ৯৯ ও ইতিহাস ও অঙ্কে সে ৯৮ পেয়েছে। ছাত্রীর কথায়, ‘পড়াশোনার অবসরে ভালো লাগে গল্পের বই পড়তে ও গান করতে।’
বোলপুরের পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটেও আরেক তৃতীয় স্থানাধিকারী নিয়ে চর্চা তুঙ্গে। দরিদ্র পরিবারের ছেলে উদয়ন। তার বাড়ি বালুরঘাট ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। বাবা উমেশ প্রসাদ দীর্ঘদিন সিপিএমের হোলটাইমার। পার্টির সাম্মানিক ভাতাতেই চলে সব খরচ। মা বিন্দুবারই প্রসাদ গৃহবধূ। বালুরঘাট হাইস্কুলের ছাত্র উদয়ন। মাধ্যমিকে সে বাংলায় পেয়েছে ৯৮, ইংরেজিতে ৯৮, অঙ্কে ৯৯, ভৌতবিজ্ঞানে ৯৯, জীবনবিজ্ঞানে ১০০, ইতিহাসে ৯৭, ভূগোলে ১০০ নম্বর। চিকিৎসক হয়ে সে মানুষের সেবা করতে চায়। সে পড়াশোনার পাশাপাশি গল্পের বই পড়তে ভালোবাসে। রবীন্দ্রনাথ তার প্রিয় লেখক। উদয়ন বলে, আমি মেধাতালিকায় জায়গা পাব আশা করেছিলাম। কিন্তু প্রথম তিনে থাকার কথা ভাবিনি।
অন্যদিকে, ছেলের তৃতীয় হওয়াতে বেজায় খুশি নৈঋত রঞ্জন পালের মা অপর্ণা কুণ্ডু পাল। তিনি বলেন, ছেলে যে ‘থার্ড’ হবে তা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলাম। কারণ পরীক্ষার পর কথায় কথায় তা বলেছিল। ফল বেরোনোর পর দেখা গেল কাকতালীয়ভাবে ওর ওই কথা মিলে গিয়েছে। এই সাফল্যের জন্য ছেলে মিশন পরিবারকে সমস্ত কৃতিত্ব দিচ্ছে। সারাদিনে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পড়াশোনা করত নৈঋত। তবে টেস্টের পর সেই সময় কিছুটা বাড়ে। তবে সে সারাদিন বই নিয়ে বসে থাকত না। মাঝেমধ্যে খেলাধুলো, গান-বাজনাও করত।