পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজনে আইনি চাপ বাড়তে পারে। কাজকর্মে যোগাযোগের অভাবে বিঘ্ন। ... বিশদ
প্রতিনিধি দলে ছিলেন নৃত্যশিল্পী সৌরজা ঠাকুর। দূর দেশে এসে প্রাণের ঠাকুরের মূর্তি দেখে সেটির হাত আঁকড়ে ধরেছিলেন তিনি। বুনো চন্দ্রমল্লিকা, জুঁই, বেগুনি লিলি ও পিওনি ফুলের তোড়া পায়ের কাছে রেখে শ্রদ্ধা জানান প্রাণের ঠাকুরকে। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সঙ্গীতশিল্পী মনোজ মুরলী নায়ার। তিনি এই প্রথম চীনে গেলেন। হাঁটছিলেন সাংহাইয়ের রাস্তায়। মূর্তির কাছে বসে নরম সূর্যের আলোতে গান ধরেন। বলেন, ‘এখানকার রোদ, বাতাস, পাতা সবই আমার প্রকৃতির প্রতি আকুল আকাঙ্ক্ষা জাগিয়ে তোলে। আমি আপ্লুত। যেখানকার ভাষা আলাদা কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে ওঁদের দারুণ উত্সাহ। রবি ঠাকুরের মাধ্যমে এ এক অসাধারণ মৈত্রীর বার্তা।’ রবি ঠাকুর জীবনে মোট তিনবার সাংহাইয়ে গিয়েছিলেন। তখন যে যাত্রীবাহী জাহাজে তিনি চেপেছিলেন তা হংকং হুইশান বন্দরে থেমেছিল। সাংহাই সফরের সময় তিনি সিমিং গ্রামে ছিলেন। ভারতীয় প্রতিনিধি দল সেই সিমিং গ্রামও পরিদর্শন করেন। এই অনুভূতি তাঁদের কাছে ভোলবার নয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভবনের অধ্যক্ষ অভিজিত্ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘সাংহাই কর্তৃপক্ষ রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলিকে এত ভালোভাবে সংরক্ষণ করেছে দেখে আমি মুগ্ধ। সাংহাই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চীন সফরের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান।’
সাংহাই ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফু জি হং ভারতীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন। সিমিং গ্রাম ছাড়াও সাংহাই পুর আর্কাইভ ব্যুরো, সাংহাই চিনইউয়ান সিনিয়র হাইস্কুল, হুইশান ওয়ার্ফ সাইট পরিদর্শন করেন। থাংচি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চীন সফরের শতবর্ষ’ অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। সে দেশেও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে এত যত্ন সহকারে কাজ হচ্ছে, তা দেখে মুগ্ধ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সাংহাই চিনইউয়ান সিনিয়র হাইস্কুলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খালি পায়ে রবি ঠাকুরের একটি কবিতার নৃত্যরূপ প্রদর্শন করেন সৌরজা। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঠাকুরবাড়ির জাদুঘরের পরিচালক বৈশাখী মিত্র, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী।