বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এর আগেও গোরু পাচার চক্রে নাম জড়িয়েছিল বিএসএফের। ২০২০ সালে গোরু পাচার চক্রে যোগ থাকার অভিযোগে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সতীশ কুমার নামে এক কমান্ড্যান্ট। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশচন্দ্র শুক্লার ছেলে ও শ্যালক দিল্লিতেই থাকতেন। মাদক চক্রে দিল্লি পুলিস তাঁদের দু’জনের নাম জানতে পারে। তারপর তাঁদের গ্রেপ্তারও করা হয়। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের বাকিদের খোঁজ শুরু হয়। তারপরই উঠে আসে বিএসএফের হরিশচন্দ্রের নাম। ছেলে ও শ্যালকের মোবাইলের সূত্রে ধরেই পুলিস বিএসএফ অফিসারের নাম জানতে পারে। তারপরই তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য খোঁজ শুরু হয়।
দিল্লি পুলিস জানতে পারে, বর্তমানে তিনি পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তে রয়েছেন। শনিবার দিল্লি পুলিসের একটি টিম স্বরূপনগরে এসে পৌঁছয়। তারপর বিথারী সীমান্ত চৌকিতে গিয়ে প্রথমে হরিশচন্দ্রকে জেরা করা হয়। দীর্ঘ জেরার পর ওইদিন রাতে দিল্লি পুলিস তাঁকে গ্রেপ্তার করে। ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য রবিবার ধৃত হরিশচন্দ্র শুক্লাকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করে দিল্লি পুলিস। আদালত থেকে ট্রানজিট রিমান্ড নিয়ে তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, সীমান্তে কর্মরত থাকার সুযোগে মাদক চক্রে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। সীমান্তের মাদক কীভাবে দিল্লি পর্যন্ত পৌঁছত, সেই চেইন খুঁজছে দিল্লি পুলিসের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এই মাদক চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তারও তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ বিএসএফ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দিল্লি পুলিস আমাদের কাছে এসেছিল। মামলার কথা জানানোর পর আমরাই তাকে পুলিসের হাতে তুলে দিয়েছি।